বৃষ্টি নেই, মাঠের ধান কি আর ঘরে উঠবে? ঘুম গিয়েছে পুরুলিয়ার চাষিদের

বৃষ্টির অভাবে মরতে বসেছে ধানের চারা। আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে পুরুলিয়া জেলার ধানচাষিদের  চাষের জমি ফেটে চৌচির জলের অভাবে এখনও চাষের জমিই তৈরি করতে পারেননি চাষিরা বৃষ্টি নেই, সেচের ব্যবস্থা করে যে ধান বাঁচাবেন, তারও উপায় নেই  কারণ পুকুর, জলাশয় এমনকি কংসাবতী নদী দেখলেও মনে হচ্ছে ফাঁকা মাঠ। তাই চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাষিরা আগামী সাত দিনের মধ্যে ভারী বৃষ্টি না হলে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করেছেন কৃষি দফতরের আধিকারিক ডক্টর আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

পুরুলিয়া ১ ব্লকের শিমুলিয়া গ্রামের কৃষক সাপাত আনসারি, বিশ্বনাথ মাহাতোরা জানান,  জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছিল  তাই অনেক আশা নিয়ে ধান বসিয়েছিলেন। চারাও বেরিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে আর বৃষ্টি হয়নি। ফলে মরতে বসেছে সেই চারা। তাঁরা বলেন, “হাজার হাজার টাকা খরচ করে ধান লাগিয়েছিলাম  চারাও বেরিয়েছিল এমন হবে কী করে বুঝবো ?  শেষপর্যন্ত যদি ধান না হয় পথে বসতে হবে।”

কোটলুই গ্রামের বাসিন্দা মিথিলা মাহাতো বলেন, “জুন মাসের শেষ থেকে এ পর্যন্ত মোটে বৃষ্টি হয়নি। জমি এখন আর চেনা যাচ্ছে না। সব গাছ শুকিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামের সব পুকুর শুকিয়ে গেছে। কংসাবতী নদী যেন ফাঁকা মাঠ। মাঠে যে জল এনে দেব, তারও জো নেই।”

জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক ডাঃ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী সাতদিনের মধ্যে যদি ভারী বৃষ্টি না হয় তাহলে জেলায় এ বার আর ধান চাষ হবে না। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত জেলার কোনও জায়গাতেই চাষের জমি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। যেখানে ২৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা সেখানে সেখানে মাত্র ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ ঘাটতির পরিমাণ ১৪১ মিলিমিটার। তাই এবছর পুরুলিয়া জেলায় ধান চাষ সত্যিই সঙ্কটের মুখে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.