নীরজ চোপড়ার জ্যাভেলিন কি লুকিয়ে রাখতে যাচ্ছিলেন পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম? টোকিও অলিম্পিক্সে সোনজয়ী নীরজের একটি মন্তব্য ঘিরে এমনই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। রীতিমতো ভারত-পাকিস্তান রেষারেষি শুরু হয়ে যায়। তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন নীরজ। কড়া ভাষায় বললেন, আগে খেলার নিয়ম জানতে হয়।
বৃহস্পতিবার টুইটারে একটি ভিডিয়োবার্তায় নীরজ বলেন, ‘এখন একটা বিষয় নিয়ে হইচই হচ্ছে। একটি সাক্ষাৎকারে আমি বলেছিলাম যে প্রথম থ্রোয়ের আগে আমি পাকিস্তানের অ্যাথলিট আরশাদ নাদিমের থেকে জ্যাভেলিন নিয়েছিলাম। ওটা নিয়ে অকারণে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। যেটা একেবারেই সাধারণ বিষয়। আমাদের ব্যক্তিগত জ্যাভেলিন একটি জায়গায় রাখতে হয়। কিন্তু প্রত্যেক থ্রোয়ার সেটা ব্যবহার করতে পারেন। এটা নিয়ম। সেটায় কোনও ভুল নেই। জ্যাভেলিন নিয়ে নিজের থ্রোয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আরশাদ। আমার থ্রোয়ের জন্য আমি চাই। এটা এত বড় বিষয় নয়। আমার খারাপ লাগছে যে আমায় ব্যবহার করে এটাকে এত বড় বিতর্কে পরিণত করা হয়েছে। এরকম কাজ না করার জন্য সবাইকে আর্জি জানাচ্ছি। খেলাধুলো সবাইকে এককাট্টা হয়ে চলতে শেখায়। সব জ্যাভেলিন থ্রোয়ারের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। নিজেদের মধ্যে কথা বলি। তাই এমন কোনও কথা বলবেন না, যাতে আমাদের ধাক্কা লাগে।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
নীরজ যে বিতর্ক নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তা বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে নীরজ বলেছিলেন, ‘ফাইনাল শুরুর আগে জ্যাভলিনটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ দেখি সেটা নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের নাদিম। সঙ্গে সঙ্গে ওর কাছে গিয়ে বলি, ভাই জ্যাভলিনটা দাও। এটা আমার। ছুড়তে হবে আমায়। তখন ও ফেরত দেয়।’ যে মন্তব্য ঘিরে নেটিজেনরা অভিযোগ করেন, নীরজের মনোবলে ধাক্কা দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে জ্যাভেলিন লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন নাদিম। সেইসঙ্গে ভারত-পাকিস্তান রেষারেষি শুরু হয়ে যায়।
যদিও সেই নেটিজেনদের একহাত নিয়েছেন নীরজ। ভিডিয়োর সঙ্গে হিন্দি টুইটে টোকিও অলিম্পিক্সে সোনজয়ী লেখেন, ‘সকলের কাছে আমরা বিনীত অনুরোধ যে আমাদের মন্তব্যকে নিজেদের নোংরা স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করবেন না। খেলাধুলো আমাদের সবাইকে একজোট হয়ে একসঙ্গে থাকতে শিখিয়েছে। আর মন্তব্য করার আগে খেলার নিয়ম জানাটা জরুরি।’