মালদার বন্যাত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাই কোর্ট। কেন চার বছরেও দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলে আদালত বলল, ‘ত্রাণ শুধুমাত্র কয়েকজনের পকেট ভরানোর জন্য নয়’।
২০১৭ সালে বন্যায় প্লাবিত হয় মালদা। সেই সময় জেলার একাধিক ব্লকের জন্য ৪০ কোটি টাকার ত্রাণ বরাদ্দ করে নবান্ন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে তা বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টেই বারবার টাকা পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, কয়েকটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টেই ত্রাণের টাকা ঢুকেছে।
সেই নিয়েই চলতি বছরের জুলাই মাসে মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার তার শুনানিতেই রাজ্য সরকারকে কার্যত তুলোধনা করল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ। রাজ্য সরকারের কাছে তাঁরা জানতে চান কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
উত্তরে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, ‘শোকজ ও নোটিস জারি করা হয়েছে। কিছু টাকাও উদ্ধার হয়েছে’। একথা শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতিরা বলেন, ‘ব্যস, শোকজ আর নোটিস জারি করে দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। কেউ গ্রেফতার হয়েছে কি? ’ একটা পঞ্চায়েতে এই অবস্থা হলে বাকি রাজ্যে কি হচ্ছে? সেই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা।
যে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার প্রধানকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি তা জানতে চান বিচারপতিরা। বলেন, ‘এই অপরাধে ৪০৯ ধারায় যাব্জজীবন শাস্তি হয়। আপনি ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানান রাজ্য সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে’।