একাডেমিক পরিমণ্ডলে একটি ধারনা আছে যে, ভারতের ব্যবস্থাপনা বা প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালনার দক্ষতা নেই। যাই হোক, অনেক পণ্ডিত আমাদের ধর্মশাস্ত্রে গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছেন এবং দেখেছেন যে ভারতীয় ঋষিরা ব্যবস্থাপনার নীতি এবং ধর্মের অর্থাৎ সঠিক আচরণের উপর ভিত্তি করে ব্যবসা করার কথা বলেছিলেন। এখানে সন্দীপ সিং ভারতীয় স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টে তার 90 ঘন্টার কোর্স মডিউলের উপর ভিত্তি করে একটি ছোট উপস্থাপনা করেন।
আর্থিক বাজারের একজন দূরদর্শী মতিলাল ওসওয়াল এই বিষয়ে তার অন্তর্দৃষ্টি এবং অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন এবং ব্যাখ্যা করেন, কিভাবে আমাদের আমাদের জ্ঞানের ভিত্তি পুপুনর্গঠন করতে হবে এবং ব্যবসা করার আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।
এই আলোচনা প্রতিটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ম্যানেজার এবং সিনিয়র ম্যানেজারকে শুনতেই হবে।
ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা – ভারতীয় প্রবন্ধন – প্রয়োজনীয়তা, কি শেখানো হয়, পরিকল্পনা কার, কি কি কভার করছে
ভারতের অর্থনীতি যখন ঊর্ধ্বসীমায় ছিল তখন ভারতে প্রায় 16 টি বিশ্ব বিদ্যালয় বর্তমান ছিল।
Second century bce : laws of Gautama
First century bce : laws of Vashistha
First century CE : Arthashastra of Kautilya
Second century CE: laws of Manu
Fourth century CE : yajanavalkya
Fifth century CE : laws of narada
Fifth century CE : laws of brihaspati
Seventh century CE : Vishnu
Seventh century CE : katyayana
Eight century CE : asahaya (commentry of Narada)
Eight century CE asahaya commentry of Narada
Ninth century CE medhatithi commentry of Manu
Ninth century CE Bhavasvamin commentry of Narada
Twelfth century CE Mitakashara of Vijanaeshvara ( Commentry yajnavalkya)
Thirteenth century CE Smritichandrika of devannabhatta (Digest)
Fourteenth century CE Vivadratankara of chandeshvara thakkuru (Digest)
Fourteenth century CE Vyavaharaniranaya of Varadaraja(Digest)
Fiftenth century CE Vyavaharacintamani of Vachaspati Mishra (Digest)
Seventeenth century CE Rajanitiprakasha of Mitra mishra( Digest)
কি কি কভার করছে
Dharmashastra
Dharmasya moolam arthak : the basis of Dharma is prosperity
Arthasya moolam Rajyam : the basis of prosperity is good management
Rajya moolam indriya jayah : the basis of good management is self control
Indriyajayasa moolam Vinayaka: the root of self control is humanity
As per the সার্ভে few years back…. বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির CEO ভারতীয়। কেন? কারণ ভারতীয় নেচার( বৈশিষ্ট্য) হল তারা হাম্বেল(নম্র)।
আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব দুহাজার বছর থেকে খ্রিস্টপূর্ব তিনশাে বছর পর্যন্ত প্রাচীন ভারতের বেদনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থাকে বলা হয় বৈদিক শিক্ষা। শ্রবণনির্ভর হওয়ায় বেদের অপর নাম শ্রূতি। বৈদিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্যসমূহ一
(১) গুরুকুল: বৈদিক শিক্ষার প্রতিষ্ঠান বলতে গুরুকুল বা গুরুর আশ্রমকে বােঝাত। উপনয়নের পর শিক্ষার জন্য শিষ্যরা গুরুগৃহে সমবেত হত। এক-একজন গুরুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠত আবাসিক-আশ্রমিক গৃহ-বিদ্যালয়। এই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থাকে বলা হত গুরুকুল শিক্ষাব্যবস্থা।
(২) উপনয়ন ও ব্রম্মচর্যাশ্রম: বৈদিক শিক্ষায় গুরুরা উপনয়ন নামক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিষ্যকে ব্রম্মচারী হিসেবে দ্বিতীয় জন্ম দিতেন। গুরুগৃহে থাকাকালে শিষ্যকে ব্রহমচর্য পালন করতে হত। কয়েকটি শারীরিক ও আধ্যাত্মিক নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে মেনে চলতে হত এবং তার মধ্যে দিয়েই শিষ্যের শিক্ষালাভ ঘটত।
(৩) শিক্ষাকাল: উপনয়নের মাধ্যমে বৈদিক শিক্ষা শুরু হত। বারাে বছরের শিক্ষাক্রমটি শেষ হত ‘সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
(৪) সংরক্ষিত শিক্ষা: বৈদিক যুগে কেবলমাত্র ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্যদের শিক্ষাধিকার ছিল। শূদ্রদের শিক্ষার অধিকার ছিল না। তাই বলা যায়, বৈদিক শিক্ষা সর্বজনীন ছিল না।
(৫) শিষ্যের দায়িত্ব: গুরুগৃহে থাকাকালীন শিষ্যকে অনেকগুলি দায়িত্ব পালন করতে হত। যেমন—গুরুর সেবা করা, গুরুগৃহ পরিষ্কার করা, গাে-পালন করা, পূজার জন্য প্রয়ােজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করা, গুরুর পরিবারের জন্য ভিক্ষা করা, গুরুর নির্দেশ পালন করা ইত্যাদি।
(৬) পাঠক্রম: বৈদিক শিক্ষায় গুরুরা শিষ্যকে বেদ পাঠ করার পাশাপাশি শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, জ্যোতিষ, ছন্দ, তর্ক প্রভৃতি বিষয়েও শিক্ষাদান করতেন পরবর্তীকালে বৈদিক ব্রাহ্মণ্য সমাজে বর্ণাশ্রম চালু হওয়ায় শূদ্র ছাড়া তিনটি উচ্চবর্ণের জন্য বৃত্তি অনুযায়ী আলাদা আলাদা পাঠক্রমের ব্যবস্থা করা হয়। ব্রাহ্মণদের বেদ, বেদাঙ্গ, উপনিষদ, নক্ষত্রবিদ্যা, ব্রহ্মবিদ্যা, ইতিহাস, পুরাণ ইত্যাদি; ক্ষত্রিয়দের যুদ্ধবিদ্যা, অস্ত্রবিদ্যা, নীতিশাস্ত্র, রাজনীতি, দণ্ডনীতি, আয়ুর্বেদ প্রভৃতি এবং বৈশ্যদের পশুপালন, কৃষিবিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, বাণিজ্যসংক্রান্ত প্রভৃতি বিষয়ে পাঠদান করা হত।
(৭) পদ্ধতি: শ্রবণ, মনন এবং নিবিষ্টচিত্তে ধ্যান বৈদিক শিক্ষাদানের প্রধান পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হত।
(৮) গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক: গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক ছিল পিতা-পুত্রের মতাে। গুরু শিষ্যকে পুত্রের মতাে স্নেহ করতেন, শাসন করতেন। শিষ্য গুরুকে পিতার মতাে শ্রদ্ধা ও সমীহ করত।
(৯) গুরুকেন্দ্রিকতা: বৈদিক শিক্ষা ছিল গুরুকেন্দ্রিক। গুরুর কথাই ছিল শেষ কথা। কোনাে প্রতিবাদের অবকাশ ছিল না।
বৈদিক শিক্ষাব্যবস্থায় পাঠদান ছিল গুরুকেন্দ্রিক এবং গুরু শিষ্যদের যে পদ্ধতিতে পাঠদান করতেন তার নাম শ্রুতি পদ্ধতি। শুনে শুনে শিক্ষালাভ করতে হতো শিক্ষার্থীদের। শ্রুতি সম্পন্ন হতো তিনটি ধাপে, যথা- ১. শ্রবণ, ২. চিন্তন এবং ৩. প্রণিধান।
বৈদিক শিক্ষায় শিক্ষকগণ বেদে বর্ণিত বিষয়গুলো পাঠ করতেন। তখন কখনো তা কোনো গল্পের সাহায্য নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার চেষ্টা করতেন। বেদের বাণী কিংবা বেদকে ভিত্তি করে বলা গুরুর গল্প মনোযোগ সহকারে শুনে তা নিয়ে চিন্তা করত শিক্ষার্থীরা এবং বোঝার চেষ্টা করত। শেষে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকে প্রশ্ন করার সুযোগ পেত, যা শিক্ষার্থীদের শিখনকে আরও মজবুত করত।
শিক্ষালয়ে বা গুরুগৃহে যখন শিক্ষক বা গুরু উপস্থিত থাকতেন না তখন সবচেয়ে যে শিক্ষার্থী অগ্রবর্তী বলে বিবেচিত হতো তার ওপর দায়িত্ব থাকত বাকিদেরকে শিক্ষাদানের। একে সরদার পড়ো পদ্ধতি বলা হয়।
পরিপূর্ণভাবে বেদ শিখনের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে বা শিষ্যকে টানা বারো বছর গুরুগৃহে অবস্থান করতে হতো। এ শিখন-শেখানো প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত পবিত্র জ্ঞান করা হতো ফলে শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠন ও মূল্যবোধের বিকাশে এ শিক্ষা অত্যন্ত কার্যকর ছিল।
একনজরে বৈদিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য
বৈদিক শিক্ষার ধারক ও বাহক ছিলেন প্রাচীন ভারতের আদি শিক্ষাগুরু জ্ঞানতাপস ঋষিগণ।
বৈদিক শিক্ষা শুরু হতো ব্রাক্ষণ বালকের পৈতা পরার মাধ্যমে। একে বলা হয় উপনয়ন।
বৈদিক শিক্ষাব্যবস্থায় প্রচুর সংযম সাধনা করতে হতো।
বৈদিক শিক্ষা নেওয়ার জন্য একেকজন শিক্ষার্থীকে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে হতো।
বৈদিক শিক্ষাপদ্ধতি ছিল গুরু বা শিক্ষককেন্দ্রিক।
বোদিক শিক্ষাদান হতো গুরুর বেদপাঠের মাধ্যমে যা শিক্ষার্থীদের মনোযোগ সহকারে শুনে বুঝতে হতো।
বৈদিক শিক্ষায় প্রশ্নোত্তর পদ্ধতির ব্যবহার হতো।
বৈদিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সর্দার পড়ো পদ্ধতি চালি ছিল।