এতদিন দাবি তুলছিলেন সাধারণ মানুষ। এবার লোকাল ট্রেন চালু করার দাবিতে চিঠি লিখলেন খড়্গপুরের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম)। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সদর দফতরে সেই চিঠি জমা পড়লেও রেলকর্তাদের বক্তব্য, কবে থেকে লোকাল ট্রেন চালানো হবে, তা রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। রাজ্যের অনুমতি পেলেই পরিষেবা চালু করা হবে।
সূত্রের খবর, একেবারে রেলের অভ্যন্তরীণ মহলে সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি খড়্গপুর ডিভিশনে লোকাল ট্রেনের পরিষেবা চালু করার আর্জি জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নীরজ কুমার জানান, রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত মিললেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করতে তৈরি আছে রেল। আপাতত নবান্নের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে লোকাল ট্রেন চালুর জন্য সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে রাজ্যকে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি বলে সূত্রের খবর।
এমনিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত ১৬ মে থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ আছে। শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ চালু করা হলেও লোকাল ট্রেন চালু করার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। তা নিয়ে আমজনতার মনে যথেষ্ট ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, সবকিছু যখন খোলা আছে, তাহলে শুধু লোকাল ট্রেনেই আপত্তি কেন? পরে সেই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যাও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানান, এখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা কম আছে। কিন্তু প্রতিষেধকের অভাবে গ্রামের দিকে টিকাকরণ আশানুরূপ হয়নি। কলকাতা লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ার মতো জেলায় ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হলেই লোকাল ট্রেন চালু করে দেওয়া হবে। কিছুটা সময় নেওয়া হচ্ছে। মমতা বলেন, ‘অনেকে আমায় প্রশ্ন করছেন, লোকাল ট্রেনটা চলছে না। টিকাটা আমি যতক্ষণ না গ্রামেগঞ্জে দিতে পারব, এর (করোনাভাইরাস) প্রকোপ তো বাড়বে। এখন থেকে তো নিয়ন্ত্রণে করতে হবে। আমি জানি মানুষের কষ্ট হচ্ছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘একটাই সমস্যা। সেপ্টেম্বরে একটা তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। আমি জানি, মানুষের অভাব-অভিযোগ আছে। কিন্তু আপনার জীবনের থেকে বেশি কিছু দামি নয়। তাই আর কয়েকটা দিন আমাদের কষ্ট করতে হবে বন্ধু।’ সঙ্গে যোগ করেন, লোকাল ট্রেন না চললেও মেট্রো, বাস এবং অন্যান্য গণপরিবহন চলছে। তাই ট্রেন চালিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না।