আফগানিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী জার্মানির রাস্তায় রাস্তায় পিৎজা বিক্রি করছেন! সেই ছবি প্রকাশ্যে এনেছে সংবাদমাধ্যম ‘অল জাজিরা আরব’। সৈয়দ আহমেদ শাহ সাদাত ২০১৮-য় গনি মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে মতানৈক্যের কারণে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পাড়ি দেন জার্মানি। টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় সেখানে তাঁকে পিৎজা ডেলিভারির কাজ নিতে হয়।
২০১৮ সালে আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির মন্ত্রিসভায় যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন সাদাত। দু’বছর আফগানিস্তানে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবার পর গনির সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে তিনি পদত্যাগ করেন। গত বছর ডিসেম্বর থেকে সাদাত জার্মানির লিপজিগে থাকছেন। পেট চালাতে সেখানেই পিৎজা ডেলিভারির কাজ নিতে হয় তাঁকে।
অন্য এক সংবাদমাধ্যম ‘স্কাই নিউজ’কে সাদাত জানিয়েছেন, জার্মানি এসে টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে তাঁকে পিৎজা ডেলিভারির কাজ নিতে হয়েছে। অক্সফোর্ডের জোড়া স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী সাদাত দীর্ঘ দিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক বহুজাতিক সংস্থার উচ্চ পদে কাজ করেছেন। আফগান সরকারের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। টেলিকম ক্ষেত্রে ২৩ বছর কাজ করেছেন তিনি। কাজের সূত্রে ঘুরেছেন সৌদি-সহ বিশ্বের ১৩টি দেশ। ২০১৮ সালে চাকরি ছেড়ে আফগান মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। ২০২০ সালে সব ছেড়ে জার্মানি যাত্রা। তখন থেকেই পিৎজা ডেলিভারির কাজ করছেন।
কিন্তু যিনি চার পাশে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে থাকতে অভ্যস্ত, সাইকেল নিয়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পিৎজা ডেলিভারি করতে অসুবিধা হচ্ছে না? ‘স্কাই নিউজ’কে সাদাত জানিয়েছেন, তাঁর জীবনযাত্রা এশিয়া ও আরব দুনিয়ায় ক্ষমতাশালীদের সঙ্গে মেলালে চলবে না। বরং নিজের জীবনকেই এ ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে চিহ্নিত করছেন গনি সরকারের প্রাক্তন যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী।
আফগানিস্তানে গনি সরকারের পতনের আশঙ্কা করেছিলেন? দেশ চালানোর কাজ ছেড়ে লিপজিগের রাস্তায় পিৎজা ডেলিভারির কাজ নেওয়া প্রাক্তন আফগান মন্ত্রী বলছেন, ‘‘গনি সরকারের এত দ্রুত পতন হবে আমি ভাবতে পারিনি।’’