এটিকে মোহনবাগান এএফসি কাপের নক আউট পর্বে পৌঁছানোর পর, দেশে ফিরে গিয়েছেন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। দু’-এক জন বিদেশি বাদ দিয়ে হুগো বৌমাসরাও যে যাঁর দেশে ফিরে গিয়েছেন। এটিকে মোহনবাগানের ভারতীয় প্লেয়ারদের মধ্যে ৭ জন প্লেয়ার ইগর স্টিমাচের দলে যোগ দিয়েছেন। বাকি প্লেয়াররা বাড়ি চলে গিয়েছেন। অথচ ২৯ অগস্ট কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচ রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের? তা হলে কি সসবুজ-মেরুন ব্রিগেড লিগে অংশ নেবে না?
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেই নাকি আইএফএ-এর এক উচ্চ পদস্থ কর্তাকে ফোন করে সবুজ-মেরুনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা কলকাতা লিগ খেলবে না।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এটিকে মোহনবাগানের কলকাতা লিগে না খেলা নিয়ে বহু দিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল। ২২ সেপ্টেম্বর এএফসি কাপের সেমিফাইনাল রয়েছে। তার আগে কোচ এবং প্লেয়াররা ছুটিতে চলে গিয়েছেন। প্রীতম কোটালরা আবার জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে আবার এএফসি কাপের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার কথা।
ডুরান্ডে যে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড অংশ নিচ্ছে না, সে কথা আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এ বার জানা গিয়েছে, কলকাতা লিগেও তারা অংশ নেবে না। এর পিছনে তারা ৩টি যুক্তি দিয়েছে।
১) জাতীয় দলে ৬-৭ জনের বেশি প্লেয়ার চলে গেলে, লিগে নাও খেলতে পারে কোনও দল।
২) জৈব সুরক্ষা বলয় ছাড়া বিদেশি প্লেয়াররা খেলতে রাজি হচ্ছে না।
৩) ২২ সেপ্টেম্বর এএফসি কাপের ম্যাচ রয়েছে। তার প্রস্তুতিতে যাতে ব্যঘাত না ঘটে, সে কারণে কলকাতা লিগ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
যদিও আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই নিয়ে এখনও তাঁরা কিছু জানেন না। তাঁর দাবি অবশ্য, ‘এটিকে মোহনবাগানের দাবি মেনেই, ওদের ম্যাচও দেওয়া হয়েছে এএফসি কাপের পর। সেই ভাবে সূচি করেছি আমরা। ওরাই ছ’জন বিদেশিকে সই করানোর কথা বলেছিল, তাতেও রাজি হয়েছি। জানি না ওরা এখন কী করবে। তবে ওরা যে খেলবে না, এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’