আফগানিস্তানে পরিস্থিতি ক্রমশই আরও জটিল এবং সংকটজনক হয়ে উঠছে, আপাতত কাবুলিওয়ালার দেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা যেকোনও মূল্যে ফিরতে চাইছেন নিজের দেশে। প্রসঙ্গত এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০ নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছে নয়াদিল্লি। নাগরিকদের মূলত কাতার এবং কাজাকিস্তানের রাস্তা দিয়ে আকাশ পথে ভারতে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে আপাতত প্রতিদিন কাবুল থেকে দুটি বিমানকে ভারতে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানিয়ে রাখি, আফগানিস্তানের তালিবান রাজ্য চললেও আপাতত কাবুল বিমানবন্দর রয়েছে মার্কিন সেনাদের দখলে। সেখান থেকে প্রতিদিন ২৫ টি উড়ানকে অনুমতি দিয়েছেন তারা ন্যাটো সৈন্যদের মূল লক্ষ্য তাদের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র এবং মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। এরই মাঝে ভারতকেও অনুমতি প্রদান করা হয়েছে প্রত্যক্ষ দুটি বিমানে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার।
শনিবারও এ ধরনের বিমানে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ৮৭ জন নাগরিক। বিমান আকাশে ওড়ার পরেই অশান্ত আফগানিস্তান থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেয়ে ভারতমাতার জয় ধ্বনি দিতে থাকেন তারা। এই ভিডিওটি টুইট করে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। শুধু ভারতীয় নয় এই দলে রয়েছেন দুজনে নেপালি নাগরিকও। টুইটের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, “আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনা! এআই ১৯৫৬ বিমান ৮৭ জন ভারতীয়কে বহন করে তাজিকিস্তান থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে পুরান শুরু করেছে। দুই নেপালি নাগরিককেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই অশান্ত পরিবেশ থেকে মুক্তি পেয়ে উচ্ছ্বসিত নাগরিকরাও। জানা গিয়েছে যাত্রাপথে কাজাকিস্তান থেকে জ্বালানি নিয়ে ফের যাত্রা শুরু করবে এই বিমান। এভাবেই আগামী দিনেও নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে মরিয়া নয়াদিল্লি। আফগানিস্তানে বর্তমানে প্রতিদিন আশঙ্কার প্রহর গুনছেন তারা। যারা ফিরে আসছেন তারা অনেকেই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে ভারত গামী বিমানে চড়ে বসে ছিলেন সুব্রত নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, বিমান আকাশে ওড়ার সাথে সাথেই আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। কারন আফগানিস্তানে এখন পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর এবং তা অবর্ণনীয়।