১-০ পিছিয়ে পড়েও ৩-১-এ দুরন্ত জয়। এএফসি কাপে পরপর দু’ম্যাচ জিতে দুরন্ত ছন্দে এটিকে মোহনবাগান। কার্যত পরের পর্বে পৌঁছে গিয়েছে তারা। মঙ্গলবার বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ম্যাচ ড্র করলেই পরের পর্বে পৌঁছে যাবে এটিকে মোহনবাগান। তবে জিততে মরিয়া হয়ে রয়েছে আন্তোনিও লোপেজ হাবাস ব্রিগেড।
এটিকে মোহনবাগান কোচ হাবাস বলেছেন, ‘প্রথম অর্ধে আমরা খেলতে পারিনি। মাজিয়া আমাদের সঙ্গে সমান তালে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। এমন কী গোলও পেয়ে গিয়েছে। বিরতিতে ড্রেসিংরুমে ফিরে আমরা স্ট্র্যাটেজি বদলে ফেলি। দলে পরিবর্তন আনি। আর তাতেই আমরা লড়াইয়ে ফিরি। লক্ষ্য করে দেখবেন, আমাদের ছেলেরা দু’অর্ধে দু’রকম ফুটবল খেলেছে। ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘আমাদের এখন ছয় পয়েন্ট। গ্রুপের অন্য কোনও দলের যা নেই। ড্র করলেই আমরা পরের রাউন্ডে চলে যাব। কিন্তু আমরা ড্র নিয়ে ভাবছি না। জেতার জন্যই আমারা মাঠে নামব। বসুন্ধরা আমাদের কাছে একেবারে অচেনা প্রতিপক্ষ এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। বসুন্ধরা বেশ ভাল দল। তাদের বাড়তি গুরুত্ব দিতেই হবে। তবে জেতা ছাড়া আমরাও অন্য কিছুই ভাবছি না।’
বেঙ্গালুরু এফসি-র পর মাজিয়ার বিরুদ্ধেও গোল পেয়েছেন রয় কৃষ্ণ। তবে তাঁর একটি গোল অফ সাইডের জন্য বাতিল করায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রয় কৃষ্ণ। তিনি বলেছেন, ‘আমার যে গোলটা একেবারে শুরুতে অফসাইডের জন্য বাতিল করা হয়েছে, সেটা আমার মতে গোল ছিল। তবে রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। গোল বাতিল হওয়ার পরে তাই আমি আরও ক্ষুধার্ত হয়ে উঠেছিলাম। আমাদের দলে ভাল ফুটবলার রয়েছে। আমাদের অ্যাটাকিং লাইনআপ কতটা কার্যকর, তা দ্বিতীয়ার্ধে প্রমাণও করেছি। শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়াটাই আমাদের দলের প্রধান লক্ষ্য। গ্রুপের শেষ ম্যাচেও এই মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামব।’
মনবীর সিং আবার বলেছেন, ‘পিছিয়ে পড়েও কখনও আমাদের মনে হয়নি, চাপে পড়ে গিয়েছি। আমাদের যা শক্তি, তাতে জানতাম ম্যাচে ফিরবই। দেশের হয়ে খেললেও, প্রথম বার এএফসি কাপে খেললাম। গোল পেয়েছি, দলও জিতেছে। এই গোল আমার পরিবার এবং সবুজ-মেরুন সমর্থকদের উৎসর্গ করছি।’