মাঞ্জা সুতোয় আহত ডেলিভারি বয়ের খাবার পৌঁছে দিয়েছিলেন, পুরস্কৃত সেই কনস্টেবল

ওই যুবকের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি তাঁর চাকরিও বাঁচিয়েছিলেন সুজয়বাবু।

পুরস্কৃত হলেন ডেলিভারি বয়কে বাঁচানো সেই ট্রাফিক কনস্টেবল। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিল ফুড অ্যাপ সংস্থা। মাঞ্জা সুতো গলায় লেগে গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েছিলেন অ্যাপ নির্ভর খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার ডেলিভারি বয়।

আহত অবস্থায় পড়ে থাকা ওই যুবককে উদ্ধার করে শুধু হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়াই নয়, আহত ওই ডেলিভারি বয়ের অনুরোধে, তাঁর চাকরি বাঁচাতে খাবারের ব্যাগ পিঠে তুলে ক্রেতার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। সেই খাবার পৌঁছে দিয়েছিলেন নির্দিষ্ট ক্রেতার বাড়িতে। পুলিশের এই মানবিকতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দেয়। রাতারাতি পুলিশের মানবিক মুখ হয়ে ওঠেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে নিমতায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল সুজয় বিশ্বাস।

১৪ অগস্ট ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় ওই সংস্থার ডেলিভারি বয় সন্দীপ রায় যেভাবে গুরুতর আহত হয়েছিলেন, তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে না নিয়ে গেলে, প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। ওই যুবকের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি তাঁর চাকরিও বাঁচিয়েছিলেন সুজয়। এবার তাঁর এই মানবিকতাকে কুর্নিশ জানাল সেই ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সংস্থা।

শনিবার ওই সংস্থার তরফ থেকে নিমতায় কর্তব্যরত ওই ট্রাফিক পুলিশকে পুরস্কৃত করা হয়। একই সঙ্গে সংসার তরফ থেকে জানানো হয়, ‘আজ সুজয়বাবুরা আছেন বলেই পুরুষদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে মহিলারাও এই ডেলিভারির কাজে নির্ভয়ে যোগ দিচ্ছেন।’ এদিকে আপ্লুত ওই ট্র্যাফিক কনস্টেবল নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‌আমরা তো মানুষের জন্যই সকাল-বিকেল, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ডিউটি করি। কিন্তু মানুষের অসচেতনতা আজ আমাদের জীবনের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছ।’‌ সুজয়বাবু মনে করেন, এই সবকিছু পুরস্কার পাওয়ার জন্য নয়, বাবা-মায়ের শিক্ষাই তাঁকে এই কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.