সুপ্রিম কোর্টর গেটের বাইরে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ব্যক্তির শনিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে। কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্টর গেটের বাইরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন গাজীপুরের বাসিন্দা দুই যুবক-যুবতী। পরে তাঁদের রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২৭ বছর বয়সী যুবকের দেহের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয় ঘটনায়। যুবতীর পরিস্থিতি আরও করুণ। তাঁর দেহের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়।
নিজেদের শরীরে আগুন লাগানোর কারণ জানতে চেয়ে পুলিশ তাঁধের জিজ্ঞাসাবাদ করলে উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরের বাসিন্দা সেই যুবতী অভিযোগ করেন যে তাঁর সঙ্গে ২০১৯ সালে বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অতুল রায় ‘দুষ্কর্ম’ করেছিলেন। এই মামলায় গত দুই বছর ধরে সাংসদ জেলে রয়েছেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
নিজেদের গায়ে আগুন লাগানোর আগে যুবক-যুবতী এক ফেসবুক লাইভ করে দাবি করেন যে অভিযুক্ত অতুল রায়ের সঙ্গ দিয়েছিলেন উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লির ডিসিপি দীপক যাদব জানিয়েছেন যে ঘটনার নেপথ্যের আসল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত জারি রয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, অভিযুক্ত সাংসদ এই যুবতীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখায়। এর জেরেই আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। কারণ লাইভে যুবতী দাবি করেছিলেন যে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর এক স্থানীয় আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে মার্চ মাসে নিজের প্রাণ নাশের আশঙ্কা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন এই যুবতী।
গত ১৬ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টর ২ নম্বর গেটের বাইরে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে নিজেদের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন যুবক যুবতী। ঘটনাটি নজরে আসতেই আদালতের বাইরে থাকা নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের শীরের আগুন নেভাতে শুরু করেন। আগুন নেভানোর পর তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।