গেরুয়া শিবিরের নেতা–কর্মী–বিধায়কদের একাংশের আর মাঠে নেমে রাজনীতি করার ইচ্ছে নেই। সেই ইচ্ছে চলে গিয়েছে একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে। এবার এমনই ছবি আরও প্রকট হল বনগাঁয়। সদ্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়ে নিজের এলাকায় ফিরেছেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে রীতিমতো মতিগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিজেপি। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু অনুষ্ঠানে দেখা গেল না দলের বেশকিছু নেতা–বিধায়ককে। বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁদের একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত জেলায় এসেছিলেন। সাংগঠনিক বৈঠক করতেই এসেছিলেন তিনি। সেখানেও বিধায়ক এবং বিজেপির নেতা–কর্মীদের অনুপস্থিতি দেখা গিয়েছিল। তা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল। স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে গরহাজির থেকে বেড়াতে চলে যাওয়ার নজির এখানে দেখা গিয়েছিল। মিলেছিল বিস্তর সাফাই। তারপর আবার সেই অনুপস্থিতির ছবিই ধরা পড়ল শান্তনু ঠাকুরের ক্ষেত্রেও। যা নিয়ে চায়ে পে চর্চা তুঙ্গে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কারা অনুপস্থিত থাকলেন? জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব, বাগদার বিধায়ক তথা সাংগঠনিক জেলার সহ–সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, দলের বনগাঁ পৌর মণ্ডলের (উত্তর) সভাপতি শোভন বৈদ্য–সহ জেলা নেতৃত্বের অনেকেই। এই বিষয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘কাজে কলকাতায় এসেছিলাম।’
আবার একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরেরাও। তবে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন অশোক–সুব্রতরা। অনুষ্ঠানের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। তাঁকে আবার সম্প্রতি দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শো–কজ করেছিলেন মনস্পতি। সুতরাং মনস্পতি–শান্তনুর অনুগামীদের মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজন স্পষ্ট হচ্ছে। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের সামনে মেজাজ হারান শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘এসব নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না। এটা আমাদের কাজ।’