শুনলাম আফগানিস্তানে পেট্রোল ৪৯ টাকা, ডিজেল ৫১ টাকা,গ্যাস সিলিন্ডার ও ৫০০ টাকার মধ্যে। ক্ষুধা সূচকে তারা ছিলো ভারতের আগে। তাদের জি ডি পি ভারতের থেকে বেশি ছিল। কোভিডের সময় তাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের দীর্ঘ পথ হেঁটে আসতে হয় নি। তাদের দেশে অসহিষ্ণুতা প্রবল আকার ধারণ করেছে বলে শোনা যায় নি কখনো। তাদের সরকার সারাদিন শুধু মানুষের কথা ভাবে,আম্বানি আদানিদের কথা নয়। সে দেশ এনআরসি বা কৃষি আইনের মতো ভয়ংকর কোনো আইন চালু করে নি।দেশ বিক্রিও করে দেয় নি।
আশ্চর্যের বিষয় সেইরকম একটি দেশ থেকে দলে দলে মানুষ ছুটে আসছে আমাদের পোড়া দেশে। যেখানে সরকার চরম অসহিষ্ণু। যেখানের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করে অমর্ত্য সেন রাত্রে ঘুমোতে পারেন না। আমির খানের বউ সভয়ে বলে,চলো আমরা অন্য দেশে চলে যাই। যেখানে পেট্রোল সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। সেই দেশে,সেই নিন্দিত ধিকৃত লজ্জার ভারতের দিকে ছুটে আসছে তারা। কি আশ্চর্য না! কেন কেন কেন?
যারা বাস্তবের জমিতে পা না রেখে, ক্ষুধার সূচক আর জি ডি পি দিয়ে দেশ দেখেন,যারা শুধু ভাত দে ছাড়া আর অন্য কিছু উন্নতি মেনে নিতে পারেন না, রাফায়েল কেনা বা প্রতিরক্ষা খাতের বাজেট যাদের কাছে সম্পদের অপচয়, তাদের কাছে এই কেনর ব্যাখ্যা নেই। দেশকে অসহিষ্ণু বলা সোজা, স্বাধীনতাকে মিথ্যে বলা সোজা, বলে বেশ আনন্দ হয়, বেশ বিপ্লবী মনে হয়। এই মনে হওয়া,এই লিখে দেবার অধিকারও দিয়েছে এই অসহিষ্ণু দেশ। এটাই ভারতবর্ষ,শত সহস্র অভিযোগ নিয়ে বিশ্বের সমস্ত অত্যাচারিত আক্রান্ত জাতির শান্তির আশ্রয়স্থল আমাদের ভারতমাতা।আমাদের গর্বের ভারত।
শুধু একটাই কথা, প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দকে ভাতের হিসাবে মাপতে যাওয়া ঠিক নয়। আফগানিস্তান দেশের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব বিদেশের হাতে দিয়ে জি ডি পি বাড়াচ্ছিল, আমেরিকা হাত তুলে নিতে জি ডি পি,গ্যাস ডিজেল পেট্রোল সব গেছে।আম ছালা সব হারিয়ে আসতে হচ্ছে অসহিষ্ণু এই দেশে। আফগান সেনা প্রমাণ করলো দেশের নিরাপত্তায় সেনার কি ভূমিকা। নিন্দা করতেই পারেন, সমালোচনায় ভরাতেই পারেন কিন্তু মনে রাখবেন ভারতীয় সেনা আছে,তাই দেশ আছে। দেশ মাতার অতন্দ্র প্রহরী তাঁরা, বীর সন্তান।
সারা দিন শুধু ভাত দে,ভাত দে করে গেলে একদিন ঠাঁই দে, ঠাঁই দে করে ছুটতে হবে অন্য কোনো দেশে। আফগানিস্তান দেখিয়ে দিয়ে গেল তার বাস্তব ছবি। আমরা বুঝলেই ভালো, নাহলে ভারত আফগানিস্তান হতে বেশি সময় নেবে না।
✒️ Arijit Munian