আনন্দবাজার’ এক অদ্ভুত সংবাদসংস্থা। সরকারে রাজস্ব আদায় বাড়লে এবং ভর্তূকির পরিমাণ কমলে সেটাকেও এমন বিকৃত ভাবে দেখায় যেন ভর্তূকি দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে চালনা করা খুব গৌরবের এবং কৃতিত্বের বিষয়!

‘আনন্দবাজার’ এক অদ্ভুত সংবাদসংস্থা। সরকারে রাজস্ব আদায় বাড়লে এবং ভর্তূকির পরিমাণ কমলে সেটাকেও এমন বিকৃত ভাবে দেখায় যেন ভর্তূকি দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে চালনা করা খুব গৌরবের এবং কৃতিত্বের বিষয়!

নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার যদি কর্পোরেট করে ছাড় দিয়েই থাকে, তবে সেটা শিল্পস্থাপনে উৎসাহ প্রদান করতেই দিয়েছে। আমি নিজে ব্যবসায়ীদের সুবিধা প্রদানের পক্ষে। নতুন বিনিয়োগই বহু নতুন কর্মসংস্থানের জন্ম দেয়।

২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে ভারত সরকার পেট্রোপণ্যে যা ভর্তূকি দিত, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সেই ভর্তূকির পরিমাণ কমে এক পঞ্চমাংশ হলে, সেটাও অবশ্যই গৌরবের। এতে দেশের সামগ্রিক উন্নতিই হবে।

রাষ্ট্র গঠনে প্রত্যেক নাগরিকের সহযোগ গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র কিছু মানুষের করের টাকায় সমস্ত মানুষকে ভর্তূকি দিতে হলে অন্তিম পরিণতি হবে নিয়ম বহির্ভূতভাবে টাকা ছাপানো! যার শেষ পরিণতি হল মুদ্রাস্ফীতি ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি!

একটা দেশের অধিকাংশ মানুষ ভর্তূকি নির্ভর হলে সেটা দেশের পক্ষে কোনভাবেই গৌরবের নয়। সরকার প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ যদি বাড়াতে না পারে, তবে পরোক্ষভাবে হলেও কর সংগ্রহ করতেই হবে।

‘রাষ্ট্র’ কোন অদৃশ্য শক্তি নয়। আর তার হাতে কোন অদৃশ্য যাদুবলে অর্থের অনন্ত ভান্ডারের মালিকানাও নেই। রাষ্ট্র জনগণের করের টাকাতেই চলবে। রাষ্ট্র নির্মাণে আমাদের সমস্ত নাগরিকের যোগদান প্রয়োজন।।

ভারতবর্ষের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মহাশয়ই কোন একসময় বলেছিলেন ‘টাকা গাছে হয় না।’

কংগ্রেসের নেতারা সেটা যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন, তাঁদের দলের পক্ষে ততই মঙ্গল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.