Tibet Autonomous Region( TAR) বা তিব্বতের স্ময়ংশাসিত এলাকাগুলিতে বাড়ছে জনসংখ্য়া। প্রায় ১০ শতাংশ জনসংখ্যা বেড়েছে বলে সেখানকার কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন। এদিকে এই এলাকার আওতায় থাকা জমিকে ঘিরে চিনের সঙ্গে ভারত ও ভুটানের মনোমালিন্য রয়েছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান Wu Yingiie জানিয়েছেন ওই এলাকায় জনসংখ্যা প্রায় ১০.৫ শতাংশ বেড়েছে। তাঁর দাবি, সীমান্তের প্রায় ২১টি জায়গা কেন্দ্রীয় চিনের সরাসরি পরিচালনাধীনে রয়েছে ও সেখান থেকেই সহায়তা পায়। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা ওয়াং ইয়াং জানিয়েছেন, ওই এলাকায় যে জনজাতি গোষ্ঠী আছে তাদের যে কোনওরকম বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে লৌহবলয় গড়ে তুলতে হবে। তিব্বতের সম্প্রীতি ও স্থিতাবস্থার উপরেও জোর দেন তিনি। এদিকে চিনের সাম্প্রতিকতম জনগণনার হিসাবে দেখা যাচ্ছে তিব্বতে বর্তমানে ৩.৬৪ মিলিয়ন স্থায়ী বাসিন্দা রয়েছেন। গত ১০ বছরে সেই সংখ্য়া প্রায় ২১.৫২ শতাংশ বেড়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় চিনের পার্টি চিফের এই বক্তব্যের মাধ্যমে একথা কিছুটা স্পষ্ট হচ্ছে যে TAR এলাকায় শুধু নানা পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করেই চিন তার আধিপত্য বজায় রাখছে এমনটা নয়,এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারেও নজর রাখছে। আসলে সিকিম, অরুণাচল, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, লাদাখ সংলগ্ন সীমান্তের চিনের দিকের অংশগুলিকে TAR বলে উল্লেখ করা হয়। সেখানাকার পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর বিশেষ নজর রয়েছে চিনের। একাধিক স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে সিকিম সীমান্ত এলাকায় TAR য়ের অংশে নতুন নতুন গ্রাম পড়ে উঠছে। অভিজ্ঞমহলের মতে এভাবেই ওই এলাকাগুলিতে চিন তার আধিপত্য বজায় রাখতে চায়।