বছর পঞ্চাশের মুহম্মদ আখতার শেখ তার আসল পরিচয় গোপন করে মুকেশ মহাবীর গুপ্তা নাম নিয়ে লাভ জেহাদে ফাঁসায় ২৪ বছরের পূজাকে।
নিজেকে রেলের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই মেয়েটিকে।
ঘটনাটি ঘটে গুজরাটের সুরাটের দিনদোলে।
বয়সের ফারাক বেশি থাকায় রাজি হয়নি পুজার বাড়ির লোকজন, কিন্তু বাড়ির অমতে হনুমান মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে আখতার ও পূজা।
বিয়ের পর তিন বছর কেটে যায় এবং তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। পূজাকে নিয়ে আলাদা থাকতেন মুকেশ কারণ তিনি অনাথ বলেই সবাই জানে। তবে ছেলে নিয়ে একাই থাকতেন পূজা কারণ রেলের বদলির চাকরি বলে বাইরে বাইরে থাকতো আখতার।
একদিন মুকেশের একটি ব্যক্তিগত ফাইল হাতে আসে পূজার, সেটা নাড়াচাড়া করেই বুঝতে পারেন যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
এই মুকেশ, মানে তার স্বামী আর কেউ নন, মহম্মদ আখতার শেখ। সত্যি জেনে ফেলার পরেই তুমুল ঝামেলা লেগে যায়। আখতার পূজার কাছে কার্যত স্বীকার করে তার আসল পরিচয় এবং তার পরেই শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। পূজাকে বোরখা (burqa)পরার জন্য জোর করা হয় এবং কোরান(quran) পড়তে বাধ্য করা হয়। তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করাতে প্রচন্ড চাপ দেয় আখতার শেখ।
পূজা এরপর সোজা সুরাটের ডিন্ডোলি থানায় (Dindoli Police Station) তার স্বামী মহম্মদ আখতার শেখের বিরুদ্ধে ডায়েরি করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আটক করে আখতারকে।