এই চিত্র সকলেই দেখেছেন। সারা বিশ্ব দেখছে।
“গদর এক প্রেমকথা” সিনেমায় দেশভাগজনিত দাঙ্গায় পলাতক মানুষদের অমন ভিড় ট্রেনের দৃশ্য দেখিয়েছিল।
বিমানে এমন করে চড়ছে মানুষ~প্রাণের ভয়ে। জীবনের এত দাম!!!
কিন্তু এই ভিড়ে কোনো নারী বা শিশু দেখেছেন?! তাদের মুখগুলো দেখেছেন?!
সব চেয়ে অসহায় তো ওরাই। নিজেদের শিশুদের মুখটি ভাবুন~আর কল্পনা করুন~ওরা যদি এই মুহূর্তে কাবুলে থাকত!!!
কি, শিউরে উঠছেন?!
পৃথিবীর সমস্ত যুদ্ধ, লুণ্ঠন, দখলদারিতে সবচেয়ে বিপন্ন হয় নারী ও শিশুরা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ নারী ধর্ষিতা হয়েছিল। ওই ধর্ষণের লোমহর্ষক বর্ণনা পড়ে কম বয়সে অঝোরে কেঁদেছি। পাকিস্তানের এক সামরিক শাসক নাকি বলেছিল~ বাঙালি মেয়েদের গর্ভে অন্তত পাকিস্তানি বীজ পুঁতে দিয়ে আসতে~যাতে পরবর্তী প্রজন্মের গায়ে পাকিস্তানি ডিএনএ থাকে।
নারী চিরদিন যুদ্ধবাজ পুরুষদের ভোগ্য। সবচেয়ে অসহায় এক শিকার। অথচ এরা ভুলে যায়~ওরা নিজেরা কোনো না কোনো নারীরই গর্ভজাত!
মুম্বাই হামলার সময় ইসরায়েলের একটি দুই বছরের শিশুকে এর কোলে ওর কোলে কাঁদতে দেখা গেছে। দুটি সজল চোখ খালি মা-বাবাকে খুঁজছিল। ওই অবোধ দেবশিশু জানত না~ধর্মের নামে ওর বাবা-মাকে হত্যা করেছিল আজমল কাসবের জিহাদি রক্তলোলুপ দল।
টিভিতে ওই দৃশ্য দেখে আমরা স্বামী-স্ত্রী রাতে মুখে আহার তুলতে পারিনি, কেননা আমাদের সন্তান অন্তরের ছোট্ট অসহায় মুখটি ভাসছিল মনে।
•••
আফগানিস্তানের নারী ও শিশুদের রক্ষা করা সবচেয়ে জরুরি। বিশ্ব সম্প্রদায় কি চুপ করে থাকবে? রাষ্ট্রসংঘ?!
•••
প্রশান্ত চক্রবর্তী
১৬-৮-২১
2021-08-17