আশঙ্কা ছিল। অবশেষে সেটাই বাস্তবে পরিণত হল। তালিবানের দখলে চলে গেল আফগানিস্তান। ইতিমধ্যেই নতি স্বীকার করেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি। গোটা দেশ জুড়ে কার্যত হিংসার আগুন জ্বলছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিলেন আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের তারকা স্পিনার রশিদ খান।
তিনি একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি শুধুমাত্র লিখেছেন, ‘শান্তি’। সঙ্গে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার ইমোজি এবং দেশের জাতীয় পতাকার ছবি দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ইতিপূর্বে তালিবানি হিংস্রতার হাত থেকে আফগানিস্তানকে বাঁচানোর জন্য গোটা বিশ্বের কাছে করুণ আর্তি জানিয়েছিলেন রশিদ খান। একটি টুইটার পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রিয় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। আমার দেশ আজ প্রচণ্ড অশান্ত হয়ে রয়েছে। শিশু এবং মহিলাসহ দেশের হাজার হাজার নিষ্পাপ জনগণ প্রতিদিন শহিদ হচ্ছেন। ঘরবাড়ি এবং সম্পত্তি প্রতিনিয়ত ধ্বংস করা হচ্ছে। বহু পরিবারকে স্থানান্তর করা হয়েছে… আমাদের এই অশান্ত পরিবেশ থেকে উদ্ধার করুন। আফগানদের হত্যা বন্ধ করুন। আমরা শান্তি চাই।’ আজ আরও একবার তিনি সেই শান্তির আবেদন করেছেন।
এদিন কাবুলের দখল নিল তালিবান। আফগানিস্তানে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সে দেশের সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে রাষ্ট্র। রবিবার দুপুরে কাবুলে ঢুকতে শুরু করেছিল তালিবান। ময়দান ওয়ারদাকের দখল নেওয়ার পর একেবারে ঝড়ের গতিতে কাবুলের সীমান্তে পৌঁছে যায় তালিবান। সূত্রের খবর, আতঙ্কিত প্রশাসনিক কর্তারা ইতিমধ্যেই কাবুল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আফগানিস্তানের সমস্ত বর্ডার ক্রসিংয়ের দখলও তালিবানের হাতে। শুধুমাত্র একটাই ‘ওয়ে আউট’। কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তা ব্যবহার করেই কূটনীতিকরা পালিয়ে যেতে শুরু করেছেন।
তবে শুধুমাত্র রশিদ খান একা নন, ইতিপূর্বে আফগানিস্তানকে বাঁচানোর আবেদন জানিয়েছিলেন রশিদের সতীর্থ মহম্মদ নবিও। তিনি একটি টুইট করে জানান, ‘আমাদের দেশ আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটা দেখতে একজন আফগান হিসেবে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে। আজ গোটা দেশ জুড়ে অশান্ত একটা পরিবেশ। বিপর্যয় ক্রমশ মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই দেশের মানবিকতা বর্তমানে সংকটের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘লোকজনকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতকে সামনে রেখে তাঁরা প্রত্যেকেই কাবুলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমি বিশ্ব নেতাদের কাছে একটাই আবেদন করতে চাই যে তাঁরা আফগানিস্তানকে এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করুক। আমাদের সাহায্য করুন। আমরা শান্তি চাই।’