বহু বলিদানের পরিবর্তে দেশ পেয়েছে স্বাধীনতা। তাই স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে অত্যন্ত পুণ্যের দিন। দেশের সকল প্রান্তে বসবাসরত প্রতিটি ভারতবাসী নিজেদের মতো করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। তবে ১৬ ই আগস্ট একটি পরিচিত চিত্র সর্বত্র দেখা যায় তা হল দেশের গর্ব জাতীয় পতাকা রাস্তায় যেখানে সেখানে পড়ে রয়েছে, লোকজন পা দিয়ে মাড়িয়ে চলে যাচ্ছে।
সেই ঘটনা রুখে দেওয়ার জন্য এবার বড়ো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জঞ্জাল বা রাস্তাঘাটে আমাদের দেশের জাতীয় পতাকা যেন না পড়ে থাকে তার জন্য এবারে কেন্দ্রীয় সরকার এক নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে, যা মেনে চলতে হবে দেশের প্রতিটি নাগরিককে।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিতে কেন্দ্রের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে এক নয়া নির্দেশিকা। ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্লাস্টিকের তৈরী ছোট পতাকা যেন কোনোভাবেই ব্যবহার করা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে প্রতিটি রাজ্যকে। প্রতিটি স্কুল, কলেজ থেকে বা যেকোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো, গাড়ি গুলোতে যেন এই ধরণের পতাকা দেখা না যায় বিগত বছরগুলোর ন্যায়।
প্লাস্টিকের তৈরী পতাকাগুলো সহজে নষ্ট হয়ে যায় না। এইসব ক্ষেত্রে তেরেঙ্গার যেমন অপমান হয় ঠিক তেমনি পরিবেশেরও ক্ষতি হয়, দূষিত হয় মৃত্তিকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দেশবাসীর কাছে জাতীয় পতাকা আশা এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। দেশের জাতীয় পতাকাকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া উচিত।
দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, কিন্তু সেই বিষয়ে আমজনতা থেকে শুরু করে অনেক সংস্থাই সচেতনতার অভাবে গড়িমসি করে। জাতীয় পতাকা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় মাথায় রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে। প্লাস্টিকের পতাকা ব্যবহার করার পরিবর্তে কাগজের পতাকা ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পরেরদিন যেন সেই পতাকা ছিঁড়ে বা ডাস্টবিনে বা রাস্তায় যেন না ফেলে রাখা হয় সেই বিষয়ে প্রতিটি রাজ্য, অঞ্চল এবং প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন থাকতে হবে।