সেনা-জওয়ানদের বারবার সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল৷ হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক, এই ধরণের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোনও অচেনা বন্ধত্বের হাতছানিতে সাবধান করা হয়েছিল, বিশেষ করে মহিলা সংক্রান্ত বিষয় থেকে দূরে থাকার কথা বলা হলেও, সেই বার্তা যে কেউ কেউ মানেনি, তার ফের একবার প্রমাণ পাওয়া গেল৷ কারণ ফের একবার হানি-ট্র্যাপের শিকার হয়েছেন ভারতীয় সেনা, এমনটাই জানা গিয়েছে৷ হরিয়ানার রবিন্দর নামে ওই সেনা এক পাক মহিলাকে গুরুত্বপূ্রণ তথ্য পাচার করার জন্য গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷
সংবাদ সূত্রের খবর, মনে করা হচ্ছে ওই পাক মহিলা একজন গুপ্তচর৷ আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গুপ্তচরের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন ওই সেনা৷ শুধু তাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি পাচারও করেছেন৷ এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার অরুণাচল প্রদেশে নার্নাউল রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ওই সেনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতেই হানিট্র্যাপ থেকে ভারতীয় জওয়ানদের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছিলেন সেনা কর্তারা৷ স্পষ্ট ভাষায় জওয়ানদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলে চরম শাস্তি ভোগ করতে হবে৷ তাই হানিট্র্যাপের ফাঁদে পড়ার আগে সাবধান৷
এর আগে এমনই এক হানিট্র্যাপের শিকার হয়েছিলেন ভারতীয় জওয়ান সোমবীর সিং৷ রাজস্থানের জয়সলমীরে সেনাবাহিনীর উচ্চপদে কর্মরত থাকাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর৷ সেই মহিলার সঙ্গে সেনাবাহিনীর অনেক গোপন তথ্য আদান প্রদান করেন তিনি৷ খবর পাওয়া মাত্র সোমবীর সিংকে গ্রেফতার করা হয়৷ পরে জানা যায়, গোটা ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের৷ তারা মহিলা গুপ্তচর লাগিয়ে সোমবীর সিংকে ফাঁসায়৷
এই হানিট্র্যাপ আসলে কী? হানিট্র্যাপ হল বিশেষ ধরনের ফাঁদ৷ শত্রু দেশের সেনার গোপন তথ্য জানতে হানিট্র্যাপ পাতে বিরুদ্ধ দেশের ইনটেলিজেন্স এজেন্সিগুলি৷ সুন্দরী মহিলাদের শত্রু দেশের জওয়ানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে বলা হয়৷ এই মহিলারা আসলে ওই দেশের গুপ্তচর৷ জওয়ানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য জেনে তা নিজেদের দেশের সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়াই তাদের কাজ৷ পরিচয় ভাঁড়িয়ে এই মহিলা গুপ্তচরেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় জওয়ানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে৷ তারপর কথায় কথায় সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য জেনে যায় তারা৷