এ বছরের স্বাধীনতা দিবস দেশবাসীর কাছে আবেগের। রবিবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করবে ভারতবর্ষ। ১৯৪৭ সালে এই স্বাধীনতা অর্জন করতে বহু সংগ্রামী তাঁদের জীবন বলিদান দিয়েছেন হাসতে হাসতে। ভারতের সব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রবিবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ৭ হাজার ৫০০ বর্গফুটের একটি ভারতীয় জাতীয় পতাকা জাতির জন্য উৎসর্গ করবেন তিনি।
অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে। এদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ইন্ডিয়া টুরিজম কলকাতা, কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট। এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানের সূচিতে আছে চারা রোপন। ৭৫০টি চারা গাছ রোপন করা হবে এইদিন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের প্রাঙ্গণে যা ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রতীক বহন করবে।
রবিবার সকাল ৯:৩০টা নাগাদ রাজ্যপালের হাত দিয়ে জাতীয় পতাকার উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। সঙ্গে থাকবে গার্ড অফ অনার। ইন্ডিয়ান আর্মির বাজনায় বেজে উঠবে জাতীয় সঙ্গীতের সুর। এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে আপ্লুত ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কিউরেটর ও সেক্রেটারি ড: জয়ন্ত সেনগুপ্ত।
এদিন ভারতের প্রতিটি মানুষের কাছে এক গর্বের দিন। সেই গর্বের পিছনে আছে বহু মানুষের আত্ম বলিদান, কঠোর সংকল্প ও পরিশ্রম। ইংরেজদের ব্রজ আঁটুনি থেকে দেশ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে তাই দেশের প্রতিটি প্রান্তে উদযাপিত হবে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব।
৭ হাজার ৫০০ বর্গফুটের এই জাতীয় পতাকার পেছনে আছে জ্বলন্ত ইতিহাস। এই বছরের ২৫ এপ্রিল পতাকাটি প্রথম উন্মুক্ত হয় হিমালয়ের সাড়ে ১৬ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে। পরে সেটি চলে আসে দার্জিলিংয়ে। যোগ দিবসের দিন সেটি উন্মুক্ত করা হয়। সেখান থেকেই এসে পৌঁছায় কলকাতায়। অপেক্ষায় ১৫ আগস্টের।
এই দিনটিকে সুন্দর করে তোলার জন্য দেশের প্রতিটি মানুষ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতার কথা স্মরণ করলেন উপ পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এবং পূর্ব ভারতের আঞ্চলিক পরিচালক পর্যবেক্ষক সাগ্নিক চৌধুরী। সব মিলিয়ে এই ঐতিহাসিক দিন প্রতিটি ভারতীয় স্মৃতির খাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম ক্ষেত্র বাংলায় এই সাড়ে সাত হাজার বর্গফুটের পতাকা উড়বে। দেখবে জগৎবাসী।