নতুন প্রজন্মকে গাজওয়াতুল হিন্দ অর্থাৎ ভারতে ইসলামিক খিলাফত বানাবার জন্য অনুপ্রাণিত করার কাজ শুরু করতে হবে শৈশব থেকে। মগজ ধোলাইয়ের জন্য শিশুরাই হচ্ছে সবচেয়ে সহজ টার্গেট এই উদ্যেশ্যকে সামনে রেখে কেরালা মডেলের মাধ্যমে চলছে সারা রাজ্য জুড়ে ৫/৬ বছরের শিশুদের মধ্যে জেহাদের প্রচার ও প্রসার। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে ওই টার্গেট গ্রূপের বাচ্চাদের উগ্র সাম্প্রদায়িক ভাবধারায় দীক্ষিত করছে কেরালার অন্তত ১০ টি সাম্প্রদায়িক সংগঠন।
প্রেরণাদায়ী স্লোগান ও গানের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে খিলাফতের পক্ষে ব্যাপক প্রচার, ভয়ের ব্যাপার মগজধোলাইয়ের শিকার নিষ্পাপ শিশুরা।
একইসাথে কেরালার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২০০ টি অস্ত্র প্রশিক্ষন শিবির চালানো হচ্ছে আল-কায়েদা সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ মদতে আর এই কর্মকাণ্ডের সাথে কোনো না কোনো ভাবে যুক্ত আছে পি এফ আই।
প্রসঙ্গত, পি এফ আই এর ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যেই আছে কেরালা থেকে অমুসলিমদের হটিয়ে দিয়ে কেরালাকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা। বস্তুত কাশ্মীর মডেলের মতোই ‘কেরালা মডেলকে’ অনুসরণ করেই গোটা ভারতকে ইসলামী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করাই ওই সংগঠনগুলোর পরিকল্পনা।
ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে ৬ থেকে ১০ বছরের
বাচ্চারা ইসলামীয় পতাকা হাতে নিয়ে চিৎকার করছে ‘লে কে রেহেইঙে আজাদী‘। এই বাচ্চাগুলোকে এই বলে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে যে ‘হিন্দুরা কুকুরের জাত’ এবং এদেরকে হত্যা করে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে হবে কেরালায়। কেরালার জেহাদ মডেলই হবে খিলাফতের দিশারী। মোদ্দা কথা কেরালার হাত ধরেই হবে ভারতে জেহাদি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা।