জার্মানির ব্রেমেনে একটি ট্রামে সবার সামনে “আল্লাহু-আকবর ” বলে চিৎকার করে ওঠে সিরিয়ার (Syria) বংশোদ্ভূত এক শরণার্থী।
২৮ বছর বয়সী ওই যুবক সবার সামনেই জার্মানি তথা গোটা ইউরোপিয় সভ্যতা সম্বন্ধে কটু কথা বলে এবং এই বলে হুমকি দেয় যে একের পর আক্রমণে জার্মানির সব কিছু ধ্বংস করে দেয়া হবে।
খ্রীষ্টান ধর্ম নিয়েও যথেষ্ট কটু কথা বলে সে। তাকে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে জার্মান পুলিশ।
গত পাঁচ বছরে এই ধরণের অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী জার্মানি আর ঠিক এই কারণেই জার্মানির ইমিগ্রেশন(immigration) নীতি নিয়ে সরব বিরোধীরা। জার্মানির অন্যতম প্রধান বিরোধী দল অল্টারনেটিভ ফুর ডয়েসল্যান্ড Alternative Fur Deutschland) রীতিমতো তুলোধোনা করেছে এঞ্জেলা মের্কেলের সরকার ও তার ভ্রান্ত ইমিগ্রেশন নীতি কে। তাদের সাফ বক্তব্য এই ইমিগ্রেশন নীতির ফলে মুসলিমরা জার্মানিতে ঢুকছে এবং জিহাদ সহ যত প্রকারের অসামাজিক কাজ সম্ভব হয় , তাই করছে এই পবিত্র জার্মানির মাটিতে, ফলে ‘কলুষিত’ হচ্ছে জার্মানি।
অন্যদিকে জার্মানির অতিদক্ষিণপন্থী সংগঠন জার্মান ডিফেন্স লীগ (German Defence League) এর তরফে জানানো হয়েছে যে মুসলিমরা জার্মানির ১০ ইউরোর কাজেও আসেনা , অথচ তাদের ” পুষতে ” হাজারো হাজারো ইউরো খরচ করছে জার্মান সরকার। এটা নিঃস্বন্দেহে দেশ ও জাতি বিরুদ্ধ কাজ।
শুধু ব্রেমেনই (Bremen) নয় , বার্লিন (Berlin), মিউনিখ (Munchen), ড্রেসডেন(Dresden) , কোলন(Koln) , ফ্রাঙ্কফুর্ট(Frankfurt) , লেভারকুসেন(Leverkusen) , স্টুটগার্ট (Stuttgart), ডর্টমুন্ড (Dortmund) সহ বিভিন্ন শহরে মুসলিম তথা ইসলাম বিরুদ্ধ অনেকগুলি মিটিং মিছিল করেছে সাধারণ জার্মান মানুষজন।