তালিবানের শক্তির উৎস শরিয়তি ইসলাম। মুসলিম মানেই মনের গভীরে তালিবানি চিন্তায় বিশ্বাসী।

তালিবান বিরোধিতা মানেই আল্লার বিরোধিতা। পশ্চিমীরা বুঝতে চায়নি যে, মুসলিমরা মুসলিমই হয়, তাদের কাছে আল্লার নীতি একমাত্র নীতি! তাই আফগান সৈন্যরা তালিবানে মিশে গেছে ও যাবে। এতকাল পশ্চিমীদের থেকে টাকা পেত বলে, আফগানরা বাধ্য হয়ে তালিবান বিরোধী সৈন্যবাহিনীতে কাজ করেছে। কাজেই বিশ্বকে এখন বাঁচতে হলে, অমুসলিম সমাজকে ইসলাম মুক্ত হতে হবে। মুসলিমদের নীরবে আল্লার নীতিতে বাঁচার সুযোগ এভাবেই দেওয়া যায় ও ইসলামকে শান্তির ধর্ম বানানো যায়। যে মানুষ জীবনের প্রথম ১০ বছর ধার্মিক মুসলিম পরিবারে বাস করেছে, তার পক্ষে জীবনে আর কখনো সাধারণ মানুষের মতো চিন্তা করা সম্ভব নয়। সে আজীবন ইসলামিক চিন্তার বিশ্বাসে বন্দি। আর যে ইসলামী শিক্ষা ৩ বছর বয়স থেকেই মুসলিমদের মনের মধ্যে কঠোর ভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, সে শিক্ষা ও বিশ্বাস কখনোই তারা ভোলে না। প্রয়োজনে ভণ্ডামি করবে, দরকার হলে শুয়োর ও মদ খাবে বা অন্য ধর্মে মিশে যাবে, কিন্তু সেটা করবে ইসলামের প্রসারের জন্যই। কিন্তু মনের মধ্যে শরিয়তি ইসলাম থাকবেই। আর শরিয়তি ইসলাম কখনোই অন্য ধর্মের নীতিকে বিশ্বাস করে না ও সম্মান দেয় না। কাজেই ইসলামের সঙ্গে অন্য ধর্মের থাকা অসম্ভব। আমরা কাটাকাটি সন্ত্রাস মুক্ত বিশ্ব চাই তেমনি প্রত্যেককে নিজ ধর্মের নীতি অনুযায়ী বাঁচার অধিকার দিতে চাই।

ইসলামের নীতি হল, সব মানুষকে মুসলিম বানানো। নীতিগত ভাবে পাকিস্তান আফগানিস্তান বাংলদেশ বা সৌদির শাসক ও মানুষদের ধর্মীয় নীতির কোনো পার্থক্য নেই। এরা একটু একটু করে গণতান্ত্রিক নিয়মে হোক, ভয় দেখিয়ে হোক, তাড়িয়ে দিয়ে হোক, কি খুন করে হোক, সারা বিশ্বকে ইসলামের ছায়ায় আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । ইসলাম যে দেশে একবার প্রবেশ করেছে, সেই দেশে ২০০ বছরের মধ্যে অমুসলিমদের জীবন হারাম করে ছেড়েছে এবং এক-একটা অঞ্চলে প্ল্যান করে অমুসলিমদের সংখ্যালঘু করে ছেড়েছে। ইসলাম যেখানেই যায়, তারা প্রথমে এক জায়গায় বসবাস শুরু করে এবং আস্তে আস্তে সেই কেন্দ্র থেকে বিস্তার করতে থাকে। যাতে সেখানকার সংখ্যালঘুরা হয় সেই অঞ্চল ছেড়ে যায় বা ইসলাম গ্রহণ করে। একই নিয়মে খ্রিস্টান ধর্মও প্রসারিত হয়। ইসলামীরা নিজেদের মধ্যে যতই কাটাকাটি করুক, অমুসলিম নিধনে তারা সব দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে যৌথ ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

একই ইচ্ছা খ্রিস্টানদেরও, কিন্তু খ্রিস্টান বানাবার পদ্ধতি আজকের দিনে আলাদা। খ্রিস্টানরা ধর্মান্তরিতদের পুরানো ধর্মের নামে রেখে, ৩ পুরুষ ধরে টেস্ট করে। একটু একটু করে খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী বানায়, অনেকে বলে স্লো পয়জন দেয়!

অমুসলিম দেশগুলো এক হয়ে ধর্ম পরিবর্তন নিষিদ্ধ করে নিজেদের মধ্যে মিলে মিশে বাঁচুক। আর ইসলামকে ইসলামিক নিয়মে শান্তিতে বাঁচতে দেওয়া হোক।

তালিবানকে দেওয়া হোক নীরবে আফগানিস্তান দখল করতে । তারপর সব আফগানকে আফগানিস্তানে পাঠিয়ে দিয়ে, আফগানিস্তানের সঙ্গে অমুসলিম দেশগুলির সব রকম সম্পর্ক চ্ছিন্ন করলেই, ১০০ বছর পর এরা সমাজসিদ্ধ হবে। আর সেই সঙ্গে দূর থেকে আফগানদের সহযোগিতা করা হোক পাকিস্তান থেকে জমি উদ্ধার করতে। বর্তমান পাকিস্তানের অর্ধেকের বেশি জমিই আফগানদের। জোর করে ডুরান্ড লাইন চুক্তি সই করিয়েছে ব্রিটিশরা। দরকার বোধে বিশ্বের অন্য সব দেশে আশ্রিত আজকের আধা-তালিবান যারা ভবিষ্যতে পুরো তালিবান হবে, তাদের ব্রিটেনে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। পরের দেশ দখল করে নিজেদের উন্নতি করতে গিয়ে ব্রিটিশরাই তো সারা বিশ্বে সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
মুসলিমমাত্রই মনের গভীরে তালিবানি চিন্তায় বিশ্বাসী।

মৃণাল , ১৩.০৮.২০২১

https://www.bbc.com/bengali/news-58196328

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.