চার্চ বা মসজিদ আক্রান্ত হলে শোরগোল পড়ে যায় সারা দেশে । কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা হলো না। গত বছরের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্ধ্র প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় আনুমানিক পঞ্চাশটি ছোট, বড় মন্দির ভাঙা হয়েছে । এর মধ্যে সব চেযে বড় ঘটনা টি ঘটেছে ভিজিনগরম জেলার রামতীর্থম মন্দিরে । সেখানে বিখ্যাত এই মন্দিরে ভগবান রামের একটি বড় মূর্তি ভেঙে ফেলা হয় ।
এই মূর্তি ভাঙার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অন্ধ্র প্রদেশে বড় আন্দোলন নামতে চলেছে বিজেপি ও জন সেনা পার্টি ।
দক্ষিণ ভারতে মন্দির ভাঙা নতুন কিছু নয়
মন্দির ভাঙার ঘটনা নতুন নয় দক্ষিণ ভারতে । অন্ধ্র প্রদেশ ভাঙবার পূর্বে এখন যেটি তেলাঙ্গানা বলে পরিচিত, সেখানে ভিভিন্ন সময়ে প্রচুর মন্দির ভেঙেছে ইসলাম পন্থীরা । কারণ সেই জায়গা গুলি ছিল মুসলিম অধ্যষিত । ফলে প্রশাসন কোনো দিন সাহস করে কিছু করতে পারেনি । শুধুমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত জায়গা নয়, মাওবাদী এলাকাতেও একই ঘটনা ঘটেছে বারবার, এই অন্ধ্র প্রদেশেই । কেরালাও কোনো দিকে পিছিয়ে নেই এই বিষয়ে । উত্তর কেরালা মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ। বছরের পর বছর কেরালাতে মুসলিমদের দ্বারা হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছে ও হচ্ছে । গত এক বছরে পাঁচশোর ও বেশি হিন্দু খুন হয়েছে বাম রাজত্ব কালে, বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন পর্যায়ে ভাঙা হয়েছে প্রচুর মন্দিরও । কিন্তু সে খবর কখনোই খুব স্বাভাবিক কারণেই মিডিয়া তে আসেনি ।
তবে অন্ধ্র প্রদেশে জিহাদিরা মন্দির ভাঙলেও, কেরালায় মন্দির ভাঙা হচ্ছে জিহাদি ও কমিউনিস্ট দের যোগ সাজোশে এটাই অভিযোগ।
তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক এখনো তুলনামূলক ভাবে ভালো অবস্থায়
তামিলনাড়ুতে মুসলিম জন সংখ্যা সাত শতাংশ হওয়াতে এখনো হিন্দুদের অবস্থা এতো খারাপ হয়নি এখনো, তাই রাজ্যের মন্দিরগুলিও এখনো সুরক্ষিত । কর্ণাটকও মন্দির সুরক্ষার ব্যাপারে যথেষ্ট দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে । তবে এই রাজ্যগুলি তেও জিহাদি কার্যকলাপ চলছে বলে অভিযোগ। কিন্তু প্রশাসনের কড়া নজর থাকায় ইসলাম পন্থীরা বিশেষ সুবিধে করতে পারেনি এখনো পর্যন্ত । তবে মিম এর রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ তথা তেলাঙ্গানাতে ও এবং একই সাথে বাম রাজ্য কেরালাতে যে জিহাদি কার্যকলাপ আরো বাড়ছে ও বাড়বে এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলেন আর এস এসের এক নেতা । ফলে এই দুই রাজ্যে মন্দির গুলির সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে কৃষি বিল নিয়ে বিজেপি সরকার এর বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে দক্ষিণ ভারতের কট্টর জিহাদি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ( পি এফ আই ) এর রাজনৈতিক শাখা এস ডি পি আই ।
সেই সময় তারা একটি পথ নাটিকার আয়োজন করে। ওই পথনাটিকা তে দেখানো হয় যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাস্তায় ভিক্ষা করছেন ।
এই ঘটনার স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিবাদ জানানো হয় তামিলনাড়ু রাজ্য বিজেপির তরফে।
বিজেপি বিধায়ক কল্যানআরামন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই ঘটনার প্রতিবাদ করবার সময় তিনি ইসলাম ও হজরৎ মহম্মদ এর সম্বন্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন ।
Shree TV (English) in their latest documentary has unearthed dreadful and horrifying Information about how the radical Islamic elements are functioning with full freedom in India.
They target the differently Abled students in private Schools. Teachings of Quran is done in sign language to the children. The outfit claims it to be a successful model as 1000s of Hindus got converted and are radicalized. The children even run away from the houses while their parents are defenseless.
The documentary also makes some shocking revelations on how a politician from Tamil Nadu is involved with these Islamic outfits. The number of colleges controlled directly by them in Tamil Nadu is extremely frightening.
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সী(National Investigation Agency বা NIA) তামিলনাড়ুর থেনি (Theni) জেলার চিননামান্নুরে (Chinnamannur) হানা দিয়ে করে ইউসুফ আলম ও তার স্ত্রী পারভীনকে গ্রেফতার করে।
ধৃত ব্যক্তির নাম ইউসুফ আলম (Yusuf Alam )।
গোয়েন্দারা তার ফেসবুক ঘেঁটে বার করে আপত্তিজনক লেখা উদ্ধার করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা বক্তব্যের সার ছিল এই যে ভারতে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার জন্য ‘শাহাদত’ অর্থাৎ বলিদানের জন্য প্রস্তুত হতে হবে সবাইকে।
ইউসুফ জামাতের(Jamat) সক্রিয় সদস্য এবং তার কাছ থেকে প্রচুর ডিভিডি আপত্তিকর কাগজপত্র ও পেন ড্রাইভ পাওয়া গিয়েছে।
একদম প্রাথমিক ভাবে এন আই এর (NIA) অনুমান যে আলমের সাথে ইসলামিক স্টেট , বাংলাদেশের জামাত এমনকি পাকিস্তান এর গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আই এর (ISI)ও যোগাযোগ থাকতে পারে।
ইউসুফ আলমের আসল নাম কিন্তু উদয় কুমার।
বেশ কয়েক বছর আগে পারভীন তাকে লাভ জেহাদে ফাঁসায়, পরে সেই মেয়ের সাথেই বিয়ে হয় উদয় কুমারের।
বিয়ের আগেই উদয়কুমারকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে এবং পরে ‘নিকাহ’ করে সেই মেয়ে।
আলম এখন চিন্নামান্নুর এ একটি বিরিয়ানির দোকান ও সেল ফোনের দোকান চালায় এবং এর আড়ালেই চালাতো জিহাদি কর্মকান্ড।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে ইউসুফ আলমের ‘বিবি’ আদতে নিজেই একজন জিহাদি এবং কুখ্যাত ওমেন ইসলামিক ওয়েলফেয়ার গ্রূপ (Women Islamic Welfare Group)এর সক্রিয় সদস্য যাদের অন্যতম কাজই হলো মুসলিম মেয়েদের ‘লাভ জিহাদে’ পারদর্শী করে হিন্দু পুরুষদের বিয়ে করে তাদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে জিহাদি হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
দীর্ঘদিন ধরেই আলম ও তার স্ত্রীর উপর নজর রেখেছিলো এন আই এর গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দারা জানিয়েছে যে এই মুহূর্তে ব্যাপক ভাবে (Women Islamic Welfare Group) এর মেয়েরা দক্ষিন ভারতে কয়েকশো ছেলেকে ধর্মান্তরিত করেছে। এই ঘটনা দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
দক্ষিণ ভারতে জঙ্গিদের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে তামিলনাড়ু, একের পর এক হানা দিয়ে চলেছে এন আই এ।
তামিলনাড়ুর জনগণ যা কোনোদিন কল্পনাও করেনি , আজ তাই হচ্ছে।
কেরালার ক্রমবর্ধমান জেহাদি কার্যকলাপের নিরিখে ওই রাজ্যকে অনেকে ‘দক্ষিণের কাশ্মীর’ বলা শুরু করেছে, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ক্রমশ সেই পথেই হাটছে তামিলনাড়ু।
গত পরশুদিন এন আই এ হানা দিয়ে থেনি জেলা থেকে গ্রেফতার করে এক জিহাদি দম্পতিকে যারা গোপনে জামাতের হয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছিলো।
তাদের যায় থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর স্পর্শকাতর ও আপত্তিকর ডি ভি ডি, পেন ড্রাইভ ও জেহাদি লিফলেট ও কাগজপত্র।
কিন্তু তার চাইতে ও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো এই যে ইউসুফ আলমের যার আসল নাম ছিল উদয় কুমার এবং তাকে বেশ কয়েক বছর আগে পারভীন (বর্তমানে তার স্ত্রী) লাভ জেহাদে ফাঁসায় ও বিয়ে করে। শুধু তাই নয়, জেহাদের মন্ত্রে দীক্ষিত করে জামাতের হয়ে কাজ করতে নামায়।
ওই দুই জেহাদি যুগলকে ধরে ক্ষান্ত নয় এন আই এ। তিরুনেলভেলি, থাঞ্জাভুর ও মাদুরাই জেলাতেও জঙ্গি দমনে হানা দিয়ে চলেছে করে এন আই এ।
থেনি থেকে এবার ধরা পড়েছে আব্দুল্লা নামের এক জঙ্গি। এছাড়া বাকি তিন জায়গায় হানা দিয়ে আরো দুইজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এন আই এ। জঙ্গিরা লস্করে মুস্তাফার (Lashka-এ- Mustafa )সদস্য বলে জানা গিয়েছে। লস্করে মুস্তাফা আদতে লস্করে তাইবার একটি শাখা বলে জানা গিয়েছে যারা এই মুহূর্তে দক্ষিণ ভারতে খুব তৎপর।
বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে প্রচুর অতি স্পর্শকাতর ডিজিটাল ডিভাইস , ডি ভি ডি, পেন ড্রাইভ , ইসলামিক স্টেটের ডকুমেন্ট এর অনেক প্রিন্ট আউট , মোবাইল ফোন , হার্ড ডিস্ক , মেমোরি কার্ড, ল্যাপটপ ও বুকলেট পাওয়া গিয়েছে।
এন আই এ কর্তাদের মতে এইপর্য্যন্ত সন্ত্রাসের বড়ো শাখার একটি সামান্য অংশের রহস্যোদ্ঘাটন করা গেলো মাত্র। সন্ত্রাসের শিকড় অনেক গভীরে চলে গিয়েছে তামিলনাড়ুতে যা আগামী দিনে একটি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে।
ইদানিং খবরের শিরোনামে থাকছে তামিলনাড়ু। হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি ভাঙ্গা থেকে শুরু করে
এন আই এর (NIA) একের পর এক জঙ্গি ঠিকানায় হানা ও গ্রেফতার নিয়ে তামিলনাড়ুতে চলছে চাঞ্চল্য।
এই নিয়ে তো তীব্র উত্তেজনা আছেই , আর এরই মধ্যে উত্তেজনার নতুন উপাদান ও তৈরী হয়ে গেলো হিন্দুদের শুয়োর কাটা নিয়ে।
তামিলনাড়ুর মুসলিমরা আবার গো হত্যার পক্ষে সওয়াল করছে। তাদের যুক্তি গরু তারা কাটতেই পারে, এটা তাদের সংস্কৃতির অঙ্গ এবং এতে হিন্দুদের কতটা খারাপ লাগলো ইটা দেখা মুসলিম সমাজের দায় নয়।
কিন্তু অন্যদিকে বলছে কোনোমতেই হিন্দুদের উচিত নয় শুয়োর কাটা কারণ এতে মুসলিমদের সেন্টিমেন্টে আঘাত লাগে।
তামিলনাড়ুতে মুসলিমদের এই অন্যায় আবদারে তপ্ত গোটা রাজ্য। ঘটনার সূত্রপাত অন্য জায়গায়। তামিলনাড়ুর আরাঙগাথানগির(Arangathangi) পুডুকোট্টাই (Pudukottai) তে কাট্টু নায়াককাম (Kattu Nayakkam) সম্প্রদায়ের বহু বছরের রীতি চলে আসছে যে তারা তাদের কুল দেবতা মাদুরাই ভীরানস্বামী(Madurai Veeran Swami) কে পুজো দেবার সময় শুয়োর বলি দেয়। কিন্তু এখন মুসলিমরা এর তীব্র বিরোধিতা করে পুলিশ প্রশাসন অনুরোধ জানিয়েছে যে অবিলম্বে বন্ধ হোক শুয়োর বলি। তবে হিন্দুদের তরফে গরু বা ছাগল কাটা বন্ধের আবেদন করা হলে মুসলিমরা তা তৎক্ষনাৎ তা নাকচ করে দেয় মুসলিমরা এবং জানায় তা করা তাদের ধর্মীয় রীতি ও সংস্কৃতির অঙ্গ।
তামিলনাড়ুর জিহাদি সংগঠন মুহাইদিন আন্ডাবার জামাতের (Muhaideen Andavar Jamat) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে শুয়োর নিধন যে কোনো মুসলিমের ভাবাবেগে আঘাত দেয় , তাই শুয়োর বলি বন্ধ করতেই হবে।
একইসাথে তারা এও জানায় যে মুসলিমদের পক্ষে গো হত্যা বন্ধ করা সম্ভব নয় কারণ তা ইসলামের সংস্কৃতির অঙ্গ আর এতে যদি হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাতও লাগে , তাদের কিছু করার নেই। কিন্তু ধর্ম রক্ষায় তৎপর তামিল হিন্দুরাও কম যায় কিসে, উল্টো জেহাদিদের রাজ্য ছাড়া করার হুমকি দিলো এবার।
তবে এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ গোটা তামিল সমাজ। এই মর্মে তারা তামিলনাড়ু সরকার , পুলিশ ও প্রশাসন কে চিঠিও দিয়েছে। অনেকের মনে প্রশ্ন , তামিলনাড়ুতে ৫% মুসলিম জনসংখ্যাতেই এই অবস্থা এই জনসংখ্যা ১০% বা পশ্চিমবঙ্গের মতো ৩০% শতাংশে পৌঁছালে কি হবে কে জানে?