প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। এবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্রুজ মিসাইলের সফল পরীক্ষামূল উৎক্ষেপণ করল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বুধবার ওড়িশা উপকূলে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্রুজ মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে ডিআরডিও। দেশেই তৈরি ক্রুজ ইঞ্জিনের মদতে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ভবিষ্যতে এমন আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হবে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, আজকের এই মিসাইল উৎক্ষেপণের অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এর মাধ্যমে যুদ্ধের হাতিয়ার তৈরির দিশায় স্বাবলম্বী হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল দেশ। বিশেষ করে ক্রুজ মিসাইলের ইঞ্জিন তৈরি করা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। আর সেই জটিল ধাঁধার সমাধান করে ফেলেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে ১৫০ কিলোমিটার থেকে ভবিষ্যতে এই মিসাইলের রেঞ্জ আরও বাড়িয়ে তোলা যাবে।
উল্লেখ্য, কয়েদিন আগেই ভারতকে হারপুন অ্যান্টি-শিপ মিসাইল বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় আমেরিকা। এছাড়া, ব্রহ্মস, আকাশ, অগ্নি থেকে শুরু করে ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র। এরমধ্যে অগ্নি আবার আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম। ফলে চিন ও পাকিস্তানের আগ্রাসী গতিবিধির কথা মাথায় রাখলে একসঙ্গে দুই ফ্রন্টে লড়াই চালাতে সক্ষম ভারতীয় সেনাবাহিনী। এছাড়া, অস্ত্রের আন্তর্জাতিক বাজারেও চাপ ফেলতে তৈরি হচ্ছে দেশ। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতেই ক্যাবিনেটের বৈঠকে ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি রপ্তানিতে সম্মতি দেওয়া হয়। অস্ত্র রপ্তানির মাধ্যমে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৬ হাজার কোটি) আয়ের লক্ষমাত্রা রয়েছে সরকারের। এখনও পর্যন্ত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যন্ত্রাংশ রপ্তানি করত ভারত। কিন্তু এবার আকাশ মিসাইল রপ্তানিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। চিনকে নজরে রেখে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়াকে আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।