ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একাংশকে ‘নরকের কীট’ বলে বিতর্কে জড়ালেন ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তা। লাল হলুদ ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য গৌতম দাস ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একাংশের উদ্দেশ্যে ‘নরকের কীট’ শব্দ ব্যবহার করেন। তিনি কমেন্টে লেখেন, ‘এরা নরকের কীট। ২১ তারিখের মত একটা ডোজ দিতে হবে।’ এরপরেই রাগে ফেটে পড়েন বহু ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। সোশ্যাল মাধ্যমে ক্লাবের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্যের এমন বার্তা মানতে পারছেন না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সমর্থকদের মধ্যে মনোমালিন্য থাকতেই পারে, তা বলে ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য এ ভাবে সোশ্যাল মাধ্যমে ক্লাবের সমর্থকদের অপমান করবে সেটা একেবারেই মানা যায়না।
বহুদিন ধরেই ক্লাবের লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তাদের চুক্তিতে সই নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। ক্লাব কর্তাদের এমন সিদ্ধান্তের ফলে লাল হলুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছেন বহু সমর্থক। ঝুলে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার ভাগ্য। সমর্থকদের একাংশ বলছে, সই না করলে দল আইএসএল-এ খেলতে পারবে না। নেমে যেতে হবে আই লিগে। ফলে লজ্জায় মুখ লুকতে হবে লাল হলুদ সমর্থকদের। সেই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের মতামত দিচ্ছেন ক্লাবের সমর্থকেরা। সেখানে এক সমর্থকের কথা পছন্দ না হওয়ায় তাকে ‘নরকের কীট’ বলে আক্রমণ করলেন ক্লাবের এক কর্তা।
এরফলে প্রকাশ্যে চলে আসে ইস্টবেঙ্গল কর্তা ও ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে বিবাদ। ২১ অগস্ট ক্লাব কর্তাদের সই না করার সিদ্ধান্ত বিরোধিতা করে বহু ইস্টবেঙ্গল সমর্থক ক্লাবের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশ আসে। পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আহত হন একাধিক সমর্থক। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন ক্লাবের অন্য গোষ্ঠীর সমর্থকেরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছিল। লাল হলুদ সমর্থকদের দ্বন্দ্ব সেদিনই প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন পোস্ট আগুনে ঘি দেওয়ার কাজ করেছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে ক্লাব কতৃপক্ষের তরফ থেকে কেউই এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।