রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে এক বিজেপি নেতার বধির স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল আমতা বিধানসভার বাইনানে। বিজেপি নেতার অভিযোগ, শনিবার রাতে স্ত্রী বাড়িতে একা থাকায় ৪/৫ জন তৃণমূল কর্মীরা তাঁর উপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। বর্তমানে তিনি আহত অবস্থায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী ৫ জনের নামে উলুবেড়িয়া মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ জয়নাল মল্লিক ও শাহিদ মল্লিক নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের সোমবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, ওই বিজেপি নেতার স্ত্রী শারীরিক অসুস্থতার কারণে বছর খানেক আগে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। শনিবার গৃহবধূর স্বামী ও বড় ছেলে কাজের জন্য বাইরে যাওয়ায় রাতে ছোট ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন গৃহবধূ। শনিবার রাত ১২ টা নাগাদ ৫ দুষ্কৃতী বাইরে থেকে গৃহবধূর নাম ধরে ডাকে। অভিযোগ স্বামী এসেছে শুনে গৃহবধূ দরজা খুলতেই দুষ্কৃতীর বাড়িতে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে তাকে গণধর্ষণ করে। পরে গৃহবধূর হাত পা বেঁধে ফেলে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে গৃহবধূর বড় ছেলে কাজ থেকে ফিরে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় গৃহবধূকে প্রথমে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নির্যাতিতা গৃহবধূকে দেখতে হাসপাতালে আসেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল, উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রশাসক অভয় দাস। তারা নির্যাতিতা পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন। এই বিষয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায় জানান, পুলিশ তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
গৃহবধূর উপর পাশবিক অত্যাচার সম্পর্কে বিজেপির হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুরের কনভেনার অনুপম মল্লিক জানান, বিজেপি করার জন্য এই পাশবিক ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল।
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের জনসাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী তথা হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পুলক রায় জানান, এটা একটা নিন্দনীয় ঘটনা পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করবে।