উত্তরপ্রদেশের ভাদহী জেলা থেকে দুবারের বিধায়ক বিজেপি নেতা ডঃ পূর্ণামাসী পঙ্কজ রাজনীতিতে সততার এক উদাহরণ তৈরি করেছেন। খুবই সাদা মাটা জীবন যাপন করে পূর্ণামাসী পঙ্কজের জীবিকা আজও বিধানসভা থেকে পাওয়া পেনশন ও চাষবাসের উপর নির্ভর করে।
ডঃ পূর্ণামাসী পঙ্কজ বিজেপির পুরানো নেতা, আজ উনার পার্টি কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে একইসাথে উত্তরপ্রদেশে রয়েছে। চাইলে উনি অনেকেকিছু সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে ভোগবিলাসী জীবনযাপন করতে পারেন। কিন্তু ডঃ পূর্ণামাসী পঙ্কজ আজও আখের চাষ ও অড়হরের চাষ করে নিজের জীবন চালান।
তীব্র রৌদ্রের মধ্যে চাষবাস করা পঙ্কজ পেশায় শিক্ষক ছিলেন। উনি ভাদহী জেলার দূর্গাগঞ্জের গাদৌড় গ্রামে বসবাস করেন। প্রথমবার যখন উনি বিধায়ক হিসেব নির্বাচিত হয়েছিলেন তখন তিনি এখন শিক্ষক ছিলেন।
একজন সৎ বিধায়কের ছবি রাখা ডঃ পূর্ণামাসী পঙ্কজ ১৯৯১ সালে প্রথমবার ভাদহী থেকে বিধায়ক হয়ে ছিলেন। PHD ডিগ্রী ধারক পূর্ণামাসী পঙ্কজজিকে দল একদা অবহেলা করেছিল বলেও তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন। উনি তার সেবাকার্যের জন্য এলাকায় প্রশংসিত ছিলেন। কিন্তু পার্টি বাইরের দল থেকে যোগ দেওয়া এক নেতাকে উনার জায়গায় টিকিট দিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন।
অবশ্য যোগী আদিত্যনাথ UP এর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পূর্ণামাসী পঙ্কজজিকে যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। জনদরদী নেই নেতার কাছে আজও একটা চার চাকা গাড়ি নেই। উনি ২ বছর আগে পর্যন্ত উনি একটা স্কুটার চালাতেন। আর এখন উনি একটা বাইক কিনেছেন। যদিও এখনও উনার ছবি একজন স্কুটার চালক সাদামাটা মানুষ হিসেবেই রয়েছে।