যাবতীয় প্রতীক্ষার অবসান। টোকিও অলিম্পিক্সে ঐতিহাসিক সোনা জয়ের পর দেশে ফিরলেন নীরজ চোপড়া। সোমবার বিকেলে দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে। তারইমধ্যে উঠল ‘নীরজ, নীরজ’ ধ্বনি।
সোমবার টোকিও থেকে ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা হকি দল এবং অ্যাথলেটিক দলের সঙ্গে ভারতে ফেরার উড়ান ধরেন নীরজ। সঙ্গে ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার লভলিনা বড়গোহাঁই এবং ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। দিল্লিতে অবতরণের পর সকলেই দুর্দান্ত অভ্যর্থনা পান। তবে প্রতীক্ষা চলছিল, কখন নীরজ বাইরে আসেন। সোনার ছেলে কিছুক্ষণ পর বাইরে আসেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাঁকে নামিয়ে আনা হয়। ধ্বনি উঠতে থাকে ‘নীরজ, নীরজ’।
গত শনিবার অলিম্পিক্সে ইতিহাস তৈরি করেন নীরজ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে পদক জেতেন। টোকিয়োর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথম থ্রোয়েই ৮৭ মিটারের গণ্ডি পেরিয়ে যান। ছোড়েন ৮৭.০৫ মিটার। দ্বিতীয় চেষ্টায় আরও এগিয়ে যান। সেইবার নীরজের বর্শা ৮৭.৫৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। সেটাই শেষপর্যন্ত সোনার পদকের জন্য যথেষ্ট ছিল।
পরে সোনার পদক গলায় নিয়ে নীরজ বলেন, ‘দ্বিতীয় থ্রোয়ের পর আমি জানতাম যে প্রথমের থেকে ভালো করেছি। আমি ভাবিনি যে আমি জিতে গিয়েছি। সেটা বিপজ্জনক হতে পারত। কারণ সেটার উপর নিজের সেরাটা দিতে পারবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারপর আমি অলিম্পিক্স রেকর্ডের (৯০.৫৭ মিটার, বেজিং অলিম্পিক্সে হয়েছিল) জন্য ঝাঁপাব ভেবেছিলাম। কিন্তু সেই পরিকল্পনামাফিক হয়নি। পরবর্তী লক্ষ্য ৯০ মিটার।’ সেইসঙ্গে নীরজ বলেন, ‘অবিশ্বাস্য লাগছে। অ্যাথলেটিক্সে এই প্রথম ভারত সোনা জিতল। তাই আমার দারুণ লাগছে। অন্যান্য খেলাধুলোয় এবার (টোকিয়োয়) একটা সোনা এসেছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘দীর্ঘদিন পর এটা অলিম্পিক্সে আমাদের প্রথম (সোনার) পদক। অ্যাথলেটিক্সে প্রথমবার আমরা সোনা জিতেছি। আমি এবং আমার দেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘যোগ্যতা-অর্জন পর্বে আমি ভালো ছুড়েছিলাম। আমি জানতাম যে ফাইনালে আরও ভালো করতে পারব।’ সঙ্গে বলেন, ‘আমি জানতাম যে এটা সোনা হবে।’