গোটা ব্রিটেন জুড়ে এখন ৩০০ টি No-Go Zone: ব্রিটিশরাই সংখ্যালঘু অনেক জায়গায়; বাড়ছে অপরাধ, রাহাজানি, নারী ও শিশু ধর্ষণ

ব্রিটেন (Britain) এখন শিশু ও নারী নির্যাতনের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে , এই অভিযোগ আর কারোর নয় , স্বয়ং ব্রিটিশ পুলিশের প্রাক্তন গোয়েন্দা অফিসারের।

পরিসংখ্যান বলছে সরকারি হিসাব অনুযায়ী ব্রিটেন এক বছরে শিশু নির্যাতন (যৌন) ও ধর্ষণের সংখ্যা প্রায় দুশো , কিন্তু আদতে এই সংখ্যা এর তিনগুনের ও বেশি।

গ্রেটার ম্যানচেস্টার (Greater Manchester) পুলিশ বিভাগের প্রাক্তন গোয়েন্দা অফিসার ম্যাগি অলিভার (Maggie Oliver) এর মতে , ” ব্রিটেন এখন ক্রমশ শিশু ও নারী নির্যাতনের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। শুনতে খারাপ লাগলেও ইংরেজদের এই সব ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার সংখ্যা অতি সামান্য এবং এই অপরাধের সাথে প্রায় ৯৫ % নাম জড়িয়ে আছে মুসলিমদেরই। এক সময় শরণার্থী হয়ে আসা মুসলিমরাই আজ দাপিয়ে বাড়াচ্ছে ব্রিটেন এ এবং নির্ভীক ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে এই অপরাধ যা ব্রিটিশ সভ্যতা ও সংস্কৃতির পরিপন্থী।”

সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৩০০ টি ইসলামিক নো-গো জোন (300 Islamic No-Go Zone) তৈরী হয়েছে ব্রিটেনে। এই সব জায়গায় ব্রিটিশ নাগরিক দূরে থাক, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত ব্রিটিশ পুলিশের স্পেশাল টিমের এন্টি-টেরর অপারেশন চালাতে গিয়েও অনেক মাথা খাটাতে হয়।

লিভারপুল (Liverpool), ম্যানচেস্টার(Manchester) , ব্রাডফোর্ড(Bradford) , ওয়েস্ট ইয়র্কসায়ার (West Yorkshire) , লন্ডন(London) , মিডলসব্রো (Middlesbrough) সহ ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গায় এক সময় শরণার্থী হয়ে আসা মুসলিমরা এখন প্রকাশ্যে বুক ছিটিয়ে জিহাদ (Jihad) ছড়াচ্ছে। তারা ব্রিটিশ আইনের বদলে শরিয়ত বলবৎ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে এবং এরই সাথে চলছে শিশু ও নারী নির্যাতন। এই সব কাজ চলছে ব্রিটিশ সরকার ও ব্রিটেনের আইনকে সম্পূর্ণ বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে।

জিহাদিদের এই কর্মকান্ড সমর্থন পাচ্ছে ব্রিটেনের গোটা মুসলিম সমাজ ও ব্রিটেনেরই বামপন্থীদের(Leftist) কাছ থেকে।

সূত্রের খবর , এই জিহাদি গ্যাং(Jihadi Gang) এর অধিকাংশই পাকিস্তান (Pakistan) বংশোভূত ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত। এছাড়াও বাংলাদেশি (Bangladeshi) লোকদের দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন গ্যাং গুলোও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ।

সাধারণ ব্রিটিশ বা দক্ষিণপন্থী(Rightwing) ব্রিটিশদের মতে মুসলিম শরণার্থী নেওয়া অবিলম্বে বন্ধ হোক। তাঁদের মতে এই ভাবে চলতে থাকলে একসময় এই ব্রিটিশভূমিই একদিন ইসলামিক দেশে পরিণত হয়ে যাবে।

অন্যদিকে প্রবাসী বাঙালিদের এক অংশ মনে করে যে এই অপরাধের সাথে বাংলাদেশী মুসলিমরাও যুক্ত থাকায় বদনামের ভাগি হতে হয় বা হচ্ছে ব্রিটেনে থাকা প্রবাসী বাঙালিদেরও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.