পরীক্ষা কি হবে, না হলে কীভাবে মূল্যায়ন? ধোঁয়াশায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

করোনা আবহে এখনও খোলেনি স্কুল, কলেজ। বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ও। যদিও চলছে অনলাইন ক্লাস। এই পরিস্থিতিতে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আসন্ন পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পরীক্ষার জন্যে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও অধীনস্থ কলেজগুলির। স্নাতকোত্তর স্তরে বেশ কয়েকটি বিভাগে কয়েকটি পরীক্ষা হয়েও গিয়েছে। তবে এরই মধ্যে এসে পৌঁছেছে ইউজিসির নয়া নির্দেশিকা। এই অবস্থায় ধন্দে পড়ছে কলেজগুলি। পরীক্ষা নাকি অ্যাসেসমেন্ট, রাজ্য সরকারের নির্দেশ নাকি ইউজিসির নির্দেশিকা, তৈরি হয়েছে চরম বিভ্রান্তি।

১৬ জুলাই ইউজিসি একটি নির্দেশিকা জারি করে বলে, করোনা আবহে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের মাধ্যমেই পড়ুয়াদের মার্কস দেওয়ার কথা বলা হয়। বিগত সেমিস্টারের ৫০ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের বিকল্প মূল্যায়নের নিদান দেওয়া হয়। এদিকে রাজ্য পরীক্ষআ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

এই দোটানার মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে শনিবার প্রো-ভিসি অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে সকল ডিপার্টমেন্টাল হেডের কাছে বার্তা দিয়ে জানানো হয় যে ইউজিসির ১৬ জুলাইর নির্দেশিকাই মানতে হবে। এদিকে একাধিক বিভাগে পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। তাই এই বিষয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। এবার যদি পরীক্ষাকেই অ্যাসেসমেন্ট বলে চালিয়ে দেওয়া হয়, তা পড়ুয়াদের প্রতি অন্যায় হবে।

এর আগে চলতি বছরে ৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের বিজোড় সেমেস্টারগুলির পরীক্ষা চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলিতে। তবে সেই সময় করোনার প্রকোপ এতটা ছিল না। এপ্রিলের পর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। এই আবহে রাজ্যে একমাত্র জয়েন্টের প্রবেশিকা ছাড়া বাকি সব বড় পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.