রাম মন্দিরের পর আরও একটি বহু প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের শিলন্যাস করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী

আরব সাগরের তীরে পর্যটকদের জন্য রীতিমতো এক দর্শনীয় স্থান সোমনাথ মন্দির। এর সৌন্দর্য এখনও আকর্ষণ করে নানা দেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষকে। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী একবার দুবার নয় প্রায় ১৭ বার কার্যত বিদেশি লুটেরাদের হাতে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় এই মন্দির। শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা পরবর্তী ক্ষেত্রে ১৯৫০ সালের ৮ মে সোমনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয় দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে। ১৯৫১ সালে ১১ নতুন করে মন্দিরের জ্যোতির্লিঙ্গ স্থাপনা করেন প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ।

এরপর ১৯৫৫ সালে সোমনাথ মন্দির সর্বসাধারণের জন্য দেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়, যদিও নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয় ১৯৬২ সালে। ইতিমধ্যেই পর্যটক এবং স্থানীয়দের জন্য এই মন্দিরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ১.২৫ কিলোমিটার ব্যাপী একটি সুদৃশ্য রাস্তা নির্মিত হয়েছে। যার জন্য সরকার খরচ করেছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু ভব্য সোমনাথ মন্দির নির্মিত হলেও, দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের প্রথম স্মরণীয় বাবা সোমনাথের অর্ধ শক্তি দেবী পার্বতীর মন্দিরটি এখনও কার্যত ধ্বংসস্তূপ।


এবারেই মন্দির নির্মাণের জন্যই বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সোমনাথ মন্দিরের ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। জানা গিয়েছে ৯ আগস্ট থেকে শুরু হতে পারে পরাম্বা পার্বতীদেবীর মন্দির নির্মাণের কাজ। তার আগেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই মন্দিরের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমনাথ মন্দির চত্বরে নতুন এই মন্দিরটি গড়ে তুলতে প্রায় ২১ কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

সম্পূর্ণ মন্দিরটি নির্মিত হবে মার্বেল পাথর দ্বারা। ধ্বংসপ্রাপ্ত পার্বতী মন্দিরের যে ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে মন্দির চত্বরে, সেখানেই নতুন করে শুরু হবে কাজ। পার্বতী মন্দিরের বিগ্রহটি বর্তমানে রয়েছে সোমনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে। মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হলে সেটিও পুনরায় স্থাপনা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.