জয়েন্টে দ্বিতীয় বাঁকুড়া জিলা স্কুলের সৌম্যজিত দত্ত, বারবার থিওরি পড়া আর গোল সেট করে অনুশীলনেই এই সাফল্য।

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র জয়েন্টে দ্বিতীয় সৌম্যজিত দত্তকে দিল্লী থেকে শুভেচ্ছা জানাকেন দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার। ডাঃ সরকারও নিজে বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র ছিলেন তাই স্বভাবতই সৌম্যজিতের সাফল্যে খুশী তিনি। দিল্লী থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ঠিক তিনি কি জানিয়েছেন দেখে নিন।

জয়েন্টে ইঞ্জিনিয়ারিং এ দ্বিতীয় বাঁকুড়া জিলা,স্কুলের ছাত্র সৌম্যজিত দত্ত। বাবা স্বরূপ দত্ত পেশায় চিকিৎসক। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। বাবা ডাক্তার হলেও ছোট থেকেই ডাক্তারি পছন্দ নয় তার বরং অঙ্ক আর পদার্থ বিদ্যার তার প্রিয় বিষয় হওয়ায় ঝোঁক ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সেই মতো প্রস্তুতিও নেয় সে। এবং জয়েন্টে একেবারে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করল সৌম্যজিত। বাঁকুড়া শহরের উপকণ্ঠে কেশিয়াকোলে একটি বেসরকারি আবাসনে থাকে সৌম্যজিত।

সেই আবাসনে বসেই , তার এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে বারবার থিওরি বই পড়া আর নিজের গোল সেট করে অনুশীলন। Also Read – জয়েন্টে দ্বিতীয় সৌম্যজিতকে দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের শুভেচ্ছা। তবে, এবার কোভিড আবহে প্রথম অফলাইন পরীক্ষাতে এই সাফল্য মেলার পিছনে অবদান কিন্তু আন লাইন পড়াশোনার৷ তবে অনলাইন পড়াশোনায় নেট বিড়াম্বনার সাথে লড়াইটাও একসাথে চালিয়ে যেতে হয়েছে। তার মতে কোভিড আবহে যেমন প্রচুর সময় মিলেছে তেমনি আবার ভার্চুয়াল ক্লাসে নেট বিভ্রাট, বন্ধুদের সাথে সামনাসামনি দেখা না হওয়ার মতো আসুবিধেও ছিল। তবুও সে সব মানিয়ে নিয়ে এই সাফল্য মেলায় খুশি সে। এবার কম্পিউটার সায়েন্স বা ইসি যে কোন একটা বিষয় নিয়ে পড়ার জন্য মুখিয়ে আছে। পড়ার ফাঁকে খেলাধুলা,মোবাইল গেম বা গল্পের বই পড়ার রেওয়াজও ছিল তার।এদিকে,একছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসারে আজ খুশীর জোয়ার। ছেলের এই সাফল্য নিয়ে আশাবাদীই ছিলেন সৌম্যজিতের মা অপর্ণা দেবী। তিনি চান ছেলে তার নিজের পছন্দের বিষয় নিয়েই পড়াশোনা করুক। Also Read – বিন মাস্কে বাজারে ঘোরাঘুরি!শহরে অভিযান পুলিশের, আটক বেশ কয়েকজন। কোভিড আবহে পড়াশোনার স্বাভাবিক ছন্দপতন যেমন ঘটেছে। তেমনি ভার্চুয়াল নির্ভরতা বেড়ে গিয়েছে পড়ুয়াদের। এরই মধ্যে একমাত্র জয়েন্ট এন্ট্রান্স প্রথম বড়ো অফলাইন পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় নিজেকে মানিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা অবশ্যই কৃতিত্বের দাবী রাখে। তা বলাই বাহুল্য। বাঁকুড়া২৪X৭ পরিবারের পক্ষ থেকে সৌম্যজিতের প্রতি রইল অনেক,অনেক শুভেচ্ছা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.