গম্-ধাতু হতে নিষ্পন্ন ‘জগৎ-শব্দ গতিশীলতার নির্দেশ দেয়। নিরবধি কালপ্রবাহের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুগে যুগে যেমন পরিবেশের পরিবর্তন হচ্ছে, তেমনি মানুষের জীবিকা, দৃষ্টিভঙ্গী, খাদ্যাভ্যাস, বেশভূষা ইত্যাদি সবকিছুই নিত্যনতুন হয়ে উঠছে। আমাদের ভারতবর্ষেও এই নিয়মের বিপর্যয় ঘটেনি। সুপ্রাচীন বৈদিকযুগে মানুষের জীবনধারা যেমন ছিল, রামায়ণ মহাভারতের কালে কিন্তু তেমন ছিল না, আবার পৌরাণিকযুগে পূর্বাপেক্ষা ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে; সেই ধারাকে অব্যাহত রেখে অর্বাচীনকালেও প্রতিনিয়ত প্রভূত পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করছি। সংস্কৃতবিরুদ্ধবাদীরা মন্তব্য করেন যে, এই একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের জয়যাত্রার যুগে সংস্কৃত শিক্ষার কোনো উপযোগিতা নেই। সংস্কৃত শাস্ত্রের বিবিধ গ্রন্থে যে প্রাচীন ভাবধারা বিদ্যমান, তা বর্তমানকালে সম্পূর্ণভাবে অচল ও অগ্রগতিবিরোধী। তাদের এহেন অভিযোগের উত্তরে বলতে হয়—‘শিক্ষা কী? —এটাই প্রথম ও প্রধান বিচার্য বিষয়। শিক্ষার প্রথম উদ্দেশ্য হলো—মানবমননের পশুভাব দূরীকরণ করে দেবভাবের উদ্রেক ঘটানো। আহারনিদ্রাদি জৈবপ্রক্রিয়া মানুষ ও পশু উভয়েই সমানভাবে সাধন করে। ধর্মই মানুষের বৈশিষ্ট্য এবং কেবলমাত্র এই ধর্মবোধ অর্থাৎ নৈতিক মূল্যবোধই মানুষকে পশুর থেকে পৃথক করে। এই ধর্মের শিক্ষা আমরা আশৈশব শ্রুতি, স্মৃতি, পুরাণ, মহাজনবিরচিত গ্রন্থ প্রভৃতি পাঠের মাধ্যমে অর্জন করি। কোনটা নিন্দিত কর্ম অথবা কোনটা বিহিত কর্ম— এটাও গুরুর মুখ থেকে আমরা শুনে জীবনে চলার পথে এগিয়ে যাই। ধর্মান্ ন প্রমদিতব্যয়, সত্যান্ ন প্রমদিত্যন্য; ‘মাতৃদেবো ভব, পিতৃদেবো ভব, আচার্যদেবো ভব, অতিথিদেবো ভব’– ইত্যাদি উপদেশবাক্য সমূহ সংস্কৃত শাস্ত্রগ্রন্থেই নিহিত রয়েছে। শুধু তাই নয়; রামায়ণ মহাকাব্যে রামচন্দ্রের আদর্শ অনুকরণীয়, রাবণের আদর্শ নয়; কিংবা মহাভারত মহাকাব্যে যুধিষ্ঠিরাদির আচরণ শিক্ষণীয়, দুর্যোধনাদির আচরণ নয়— এসব শিক্ষা আমরা সংস্কৃত গ্রন্থরাজি হতেই লাভ করি। এখানেই শেষ নয়, সংস্কৃত প্রাচীন দর্শনশাস্ত্র সমূহের অনুশীলনের ফলেই মানুষের বুদ্ধি নির্মল হয় এবং সেই সঙ্গে প্রকৃত জীবনতত্ত্বও মানুষ উপলব্ধি করতে পারে। তাই সংস্কৃত বিরুদ্ধবাদীদের প্রতি আমার বিনীত প্রশ্ন— সংস্কৃত শিক্ষার যে মৌলিক উদ্দেশ্য, তা কি সম্যকভাবে বিজ্ঞান সাধনায় কিংবা প্রযুক্তিবিদ্যায় লাভ করা সম্ভব ?বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে আমরা প্রকৃতির রহস্যসমূহ জানতে সমর্থ হই এবং প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে বাণিজ্যাদি বিষয়ে আমরা প্রভূত অর্থোপার্জন করি; কিন্তু এই ধনলাভ জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে না। মনুষ্যত্ব অর্থাৎ মানবিক মূল্যবোধ (নৈতিক বোধ) ব্যতীত ধন মানুষের কাজে লাগে না; সেই অর্থ অনর্থের মূল হয়।
মনুষ্যত্ব লাভের জন্য সুপ্রাচীন সংস্কৃত শাস্ত্রগ্রন্থ সমূহের পাঠ অবশ্য কর্তব্য। মহাকবি বাল্মীকি প্রণীত ‘রামায়ণ মহাকাব্যে রামের পিতৃভক্তি ও প্রজাবাৎসল্য সর্বজনবিদিত; যদিও এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিককালের নারীমুক্তি আন্দোলনের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ ভিন্ন মত পোষণ করেন। তাদের মতে, রামচন্দ্র সেই রাজা, যে কিনা নিজ স্ত্রীকে জীবন্ত কবর দিয়েছিল। তাদের এরূপ যুক্তির প্রত্যুত্তরে বলতে হয় যে, রামচন্দ্রকে পতিরূপে গ্রহণ করে সীতাদেবী স্বামীর সোহাগে সোহাগিনী হওয়ায় সৌভাগ্য দীর্ঘদিন ভোগ করতে পারেননি—একথা সত্য; কিন্তু এর কারণ— প্রথমত, রাম-সীতার বিবাহের অল্পকালের মধ্যেই পিতৃসত্যপালনের জন্য রামের বনগমনের সিদ্ধান্ত ও সেই সঙ্গে সীতাদেবীর স্বেচ্ছায় স্বামীর পদাঙ্কানুসারিণী হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ; দ্বিতীয়ত, রাবণ-পত্নী মন্দোদরীর অভিশাপে সীতার অগ্নিপরীক্ষা; তৃতীয়ত, লোকাপবাদে প্রজানুরঞ্জক রাজা রামচন্দ্র কর্তৃক পঞ্চমাস গর্ভবতী সীতার নির্বাসন; চতুর্থত, সেই লোকাপবাদের কারণেই সীতার পাতাল প্রবেশ। সুতরাং এর দ্বারা সুস্পষ্ট যে, রামচন্দ্র সেই রাজা, যিনি কিনা প্রজাদের সুখের জন্য তাদের চাহিদা মেনে নিজের সুখস্বরূপিণী স্ত্রীকে বিসর্জন দিতেও পিছুপা হননি। কারণ রাজার ধর্ম প্রজার সুখ বিধান করা, নিজের ও নিজের পরিবারের সুখে কালাতিপাত করা নয়। সাম্প্রতিককালের অবক্ষয়ী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রামচন্দ্রের শিক্ষাই প্রতিটি রাষ্ট্রবিদের গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক।
আমাদের সংস্কৃত আকর গ্রন্থসমূহ যেমন মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিক শিক্ষা, নান্দনিক সৌন্দর্যবোধ ইত্যাদি বিষয়ে আমাদের অবগত করায়; ঠিক তেমনি আমাদের এই প্রাচীন দেশের অমূল্য সংস্কৃতিও এই ভাষায় লিপিবদ্ধ হয়েছে। কুলপরিচয় ব্যতীত যেমন কোনো মানুষ শোভা পায় , তেমনভাবেই বর্তমান সময়ে আর্যভাষাভাষীরাও সংস্কৃত ভাষায় জ্ঞানহীন হয়ে শোভা পেতে পারে না। মানবেতিহাসের সম্যক অনুশীলনের জন্য সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের গুরুত্ব অপরিসীম, এ প্রসঙ্গে পাশ্চাত্য সমালোচক ভিন্টারনিৎসের মত প্রণিধানযোগ্য— If we wish to learn to understand the beginning of our own Culture, if we wish to understand the oldest Indo-European Culture, we must go to India where the oldest literature of an Indo-European People is preserved.’
অনেকের ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, সংস্কৃত ভাষায় কেবল ধর্মগ্রন্থই রচিত হয়েছে এবং সেগুলি আমাদের উপনয়ন বিবাহ শ্ৰাদ্ধ ইত্যাদি সংস্কার ও অন্যান্য নানাবিধ পূজা-পার্বণেই কার্যকর হয়; কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে তা নয়, ভাষা হলো ভাব-প্রকাশের মাধ্যম। তাই বর্তমানকালে যেমন ইংরেজি ভাষায় নানা প্রকার বিষয় লিপিবদ্ধ হয়, ঠিক সেরকম ভাবেই প্রাচীন ভারতে সংস্কৃত ভাষাকে মাধ্যম করে বহু বিষয় (যেমন—আয়ুবেদশাস্ত্র, নাট্যশাস্ত্র, নৃত্যশাস্ত্র, শয়নশাস্ত্র, রন্ধনশাস্ত্র, ভোজনশাস্ত্র,অঙ্কনশাস্ত্র, মনস্তত্ত্বশাস্ত্র, বাপারুষ্যশাস্ত্র, স্থাপত্যবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, জ্যোতিষশাস্ত্র, গণিতশাস্ত্র, রসায়নশাস্ত্র, ঔষুধবিদ্যা, মুষ্টিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা ইত্যাদি প্রায়োগিক বিষয়সমূহ) রচিত হয়েছিল; যা সুপ্রাচীন ভারতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাসের স্বাক্ষরবাহী। তাই সমগ্র ভারতবাসীর কাছে সংস্কৃত ভাষা হলো সুসংস্কারযুক্ত সাংস্কৃতিকী ভাষা এবং ভারতবাসীর আত্মস্বরূপ। তাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কণ্ঠে উঘোষিত হয়েছিল—‘ভারতবর্ষের চিরকালের যে আত্মা, তার আশ্রয় সংস্কৃতভাষা।
ভারতবর্ষের আত্মস্বরূপা সংস্কৃত ভাষা—একথা সর্বজনবিদিত হওয়া। সত্ত্বেও বর্তমানে ভারতবর্ষে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে সংস্কৃত ভাষার গুরুত্ব ও মর্যাদা হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ হবে তথাকথিত সংস্কৃত পণ্ডিতদের পাণ্ডিত্যের ভারে সংস্কৃতভাষাকে অকারণ দুরূহ করে তোলা। এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিকক্রমে একটি নমুনা তুলে ধরলাম—সংস্কৃত এমন একটি ভাষা, যা পৃথিবীর অধিকাংশ (প্রায় প্রতিটি) লিপিতেই প্রকাশ করা যায়। শুধু তাই নয়, সংস্কৃত ভাষার কিন্তু নিজস্ব কোনো লিপি নেই। ভারতবর্ষে হিন্দীভাষী মানুষের আধিক্য থাকায় এবং পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতের মান্যবর প্রথম রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদের বিশেষ অনুকম্পায় হিন্দীভাষাকে আমাদের দেশের সংযোগকারী ভাষা ঘোষণা করার কারণে প্রায় গোটা দেশ জুড়ে দেবনাগরী লিপিতে সংস্কৃতভাষা লেখার এক বিশেষ প্রবণতা দেখা যায়। যদিও সংস্কৃত শাস্ত্রের প্রাচীন পুঁথিসমূহ লিপিবদ্ধ হয়েছে নানা সময়ে নানা লিপিতে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে বঙ্গলিপিতে সংস্কৃত ভাষার প্রকাশ রীতিমতো অপরাধ বলেই মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের একশ্রেণীর পণ্ডিতসমাজ। শুধু তাই নয়, সংস্কৃত গবেষক কিংবা গবেষিকাদের গবেষণাপত্র হতে হবে সম্পূর্ণ সংস্কৃত ভাষায় দেবনাগরী লিপিতে অথবা ইংরেজি ভাষায়; কিন্তু যদি কোনো গবেষক বা গবেষিকা বঙ্গভাষায় সংস্কৃতের গবেষণাপত্র নির্মাণ করে স্থানে স্থানে বঙ্গলিপিতে সংস্কৃতভাষার উদ্ধৃতি লিপিবদ্ধ করেন, তাহলে তিনি তথাকথিত সংস্কৃত পণ্ডিত সমাজের কাছে কখনোই নৈকষ্যকুলীন পণ্ডিত নন। এজন্য সংস্কৃতের গবেষক বা গবেষিকাদের সংস্কৃত ভাষায় দেবনাগরী লিপিতে অথবা ইংরেজি ভাষায় লিখিত গবেষণাপত্র যখন গ্রন্থাকারে আত্মপ্রকাশ করে, তখন তা তথাকথিত সংস্কৃত পণ্ডিত সমাজে আদৃত হলেও পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পাঠক তার স্বাদ উপলব্ধিতে বঞ্চিত হয়ে যেই বলে ওঠেন—“ওরে ব্বাবা! সংস্কৃত ভাষা! সে তো প্রচণ্ড কঠিন! ওর থেকে দূরে থাকাই ভালো; অমনি তথাকথিত সেই পণ্ডিতগণ নিজেদের পাণ্ডিত্যে আহ্লাদে আটখানা হয়ে নিজেদের পিঠ নিজেরাই চাপড়ান; কিন্তু তাদের এরূপ বোধদর হয় না যে, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো কাজ সহজ, সরল, সাবলীলভাবে সর্বজনবোধ্য, সর্বজনগ্রাহ্য হয়ে সবার সেবায় না লাগে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে কাজ সার্থকতা লাভে সমর্থ নয়। এবার আসা যাক অন্য প্রসঙ্গে এই সংস্কৃত ভাষার মহত্ব অপ্রতিম। ভারতবর্ষের সংহতিরক্ষার উপায় হিসাবেও সর্বভারতীয় শিক্ষায় সংস্কৃত ভাষার প্রবর্তন তথা এই ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা রূপে স্বীকৃতিদান আজকের দিনে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। দেশের প্রতি নাগরিকদের মমত্ববোধ যদি অকৃত্রিম হয় এবং আত্মবিশ্বাস সুদৃঢ় হয়, তাহলে দেশের সংহতি কখনো কারোর দ্বারাই ব্যাহত হয় না— একাজ সংস্কৃত ভাষান্তর্গত সুসংস্কারের মাধ্যমেই সাধন করা সম্ভব। শরীরের সঙ্গে রক্তকণিকার, তিলের সঙ্গে তৈলধারার এবং দুধের সঙ্গে মধুরতার যে নিত্য সম্বন্ধ; ভারতবর্ষের সঙ্গে সংস্কৃত ভাষারও তদ্রপ সম্বন্ধ। অতীতে এই দেবভাষা সংস্কৃত সর্বভারতীয়ের ভাবাভিব্যক্তিতে প্রাধান্য লাভ করে দেদীপ্যমান হয়েছিল— এই তথ্য বহু প্রাচীন গ্রন্থের বিবরণেই সুস্পষ্ট। এখানেই শেষ নয়, সংস্কৃত শিক্ষার হাত ধরেই মানব মনে পরোপচিকীর্ষা’, ‘বসুধৈব কুটুম্বম্বকম্’, ‘তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথাঃ”ইত্যাদি জীবনদর্শন জাগ্রত হয়েছে। অতএব সংস্কৃত ভাষা যে গৌরবপূর্ণ—একথা সংশয়াতীত। সংস্কৃত ভাষার এই জাতীয় সংহতি রক্ষার সামর্থ্যকে অধিকার করে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ও রাজনীতিবিদ কে.এম. পণিক্কর মহোদয় মন্তব্য করেছেন “The unity of India will collapse if it ceases to be related to Sanskrit and breaks away from Sanskrit and Sanskrit Tradition.’
পরিশেষে বলতে হয় যে, সংস্কৃতভাষা প্রাচীন হয়েও চিরনতুন, প্রতি যুগে ও প্রতি জনে প্রকাশমান; ব্রহ্মশক্তির ন্যায় নিখিলাৰ্থ সাধনে পটু, সকলপ্রকার বিতর্ককে অতিক্রম করে অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে এবং আগামী দিনেও স্বমহিমায় দেদীপ্যমান থাকবে। এপ্রসঙ্গে পাশ্চাত্য-সমীক্ষক স্যার হোরেস্ হেম্যান উইলসন-এর মত উল্লেখযোগ্য
‘ন জানে বিদ্যতে কিং তন্মাধুর্যমত্র সংস্কৃতে।
সর্বদৈব সমুন্মাত্তা যেন বৈদেশিকা বয়ম্॥
যাবদ্ ভারতবর্ষং স্যাদ্ যাব বিন্ধ্যহিমাচলৌ।
যাবদ্ গঙ্গা চ গোদা চ তাবদেব হি সংস্কৃতম্॥
অমৃতং মধুরং সম্যক্ সংস্কৃতং হি ততোদুধিক।
দেনভোগ্যমিদং যস্মন্ দেবভাষেতি কথ্যতে॥
প্রাচ্য-সমালোচক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতও প্রণিধানযোগ্য–
‘ভারতবর্ষের চিরকালের যে চিত্ত সেটার আশ্রয় সংস্কৃত ভাষায়। এই ভাষার তীর্থপথ দিয়ে আমরা দেশের চিন্ময় প্রকৃতির স্পর্শ পাব। সংস্কৃত ভাষায় একটা আনন্দ আছে। সে রঞ্জিত করে আমাদের মনের আকাশকে, তার মধ্যে আছে একটি গভীর বাণী, বিশ্বপ্রকৃতির মতোই সে আমাদের শান্তি দেয় এবং চিত্তকে মর্যাদা দিয়ে থাকে।
পুরীপ্রিয়া কুণ্ডু
2019-07-12