গত বছর বার্সেলোনা ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও লিওনেল মেসি একপ্রকার জোড় করেই বার্সাতে ধরে রাখা হয়। তবে যখন গোটা বিশ্ব ধরেই নিয়েছিল বার্সাতেই মেসি অবসর নেবেন তখনই বিপত্তি। পাঁচ বছরের চুক্তিতে মৌখিকভাবে সম্মতি জানালেও এবার নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দল ছাড়তে হচ্ছে তাঁকে।
মেসি বার্সাতেই থাকবেন এই আশ্বাসেই দ্বিতীয়বারের জন্য কাতালোনিয়ার ক্লাবের প্রেসিডেন্টের লড়াই জিতেছিলেন হুয়ান লাপোর্তা। মেসির দল ছাড়ার কথা বৃহস্পতিবার (৫ অগস্ট) ঘোষণা করা হলে, তাঁর ভবিষ্যত নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। তবে আর্জেন্তাইন তারকার দল ছাড়ার জন্য লা লিগার নিয়মকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন লাপোর্তা।
এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে মেসির দল ছাড়ার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে লাপোর্তা বলেন, ‘লিও বার্সাতে থাকতে চেয়েছিল এবং আমরাও ওকে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। এই ব্যাপারে অনেক কিছু নিয়েই আলাপ আলোচনা করতে হত। সব পক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর একটা সময় এমন আসে যখন থামতে হয়। সবটা বিচার বিবেচনা করে পরিসংখ্যানের দিকেও তাকাতে হয়। লা লিগায় আমাদের সবসময় নিয়ম মেনে চলতে হয়। আমাদের মতে সেই নিয়মের কোন কোন ক্ষেত্রে বদল দরকার, তবে এটা কোন অজুহাত নয়। নিয়ম মানা ছাড়া আমাদের আর কোন রাস্তা ছিল না।’
লাপোর্তার মতে ‘এলএম১০’-কে দলে রাখতে যা যা করা সম্ভব, তার সবটাই ক্লাবের তরফে করা হয়েছে। তবে সবশেষে দলের স্বার্থে এটাই সেরা সিদ্ধান্ত বলে তিনি দাবি করেন। লাপোর্তা দাবি করেন প্রথমে মেসিকে দুই বছরের চুক্তি দেওয়া হলেও পরে তা বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। তবে গোটা আলাপ আলোচনা চলাকালীনই মেসির কাছে যে অন্যান্য একাধিক দলের প্রস্তাব রয়েছে, সেই বিষয়েও তিনি অবগত ছিলেন।
পাশাপাশি মেসিকে যে আর ধরে রাখার কোন আশা নেই, সেই বিষয়টাও তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন। এমনিতেই রিয়াল মাদ্রিদ বা বার্সেলোনা, দুই দলের কারুর সঙ্গেই লা লিগার আধিকারিকদের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। এই ঘটনার পরে সেই সম্পর্কের যে আরও অবনতিই হবে, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।