টোকিওয় ভারতীয় মহিলা হকি দল ব্রোঞ্জ মেডেল জিততে ব্যর্থ হলেও রানি রামপাল, সবিতা পুনিয়াদের লড়াই নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচ সর্ড মারাইনের প্রশংসায় সমর্থক থেকে বিশেষজ্ঞ সকলেই। আশা ছিল ডাচ কোচের অধীনে টোকিওর পর সাফল্য লাভের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাবে ভারতীয় দল। তবে তা আর হচ্ছে না।
গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচই ছিল ভারতীয় কোচ হিসাবে মারাইনের শেষ ম্যাচ। ম্যাচের মাত্র ঘন্টাখানেক পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় কোচ জানান, ‘আমার আর কোন পরিকল্পনা নেই (ভারতীয় দলের উন্নতির জন্য), কারণ এটাই আমার ভারতীয় মহিলা দলের কোচ হিসাবে শেষ ম্যাচ ছিল। এবার পুরো দায়িত্বই জান্নেকার (স্কপম্যান) ওপর।’
স্পোটর্স অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই), সর্ড এবং জান্নেকা, দুইজনেরই চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সর্ড ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন। তাঁর বদলে পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী দলের অ্যানালিটিকাল কোচ স্কপম্যানই পাকাপাকিভাবে দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিতে চলেছেন।
২০১৭ সালে প্রথমবার ভারতীয় মহিলা দলের দায়িত্ব নিলেও সেই বছর পরেই সর্ডকে ভারতীয় পুরুষ দলের দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়। তবে মাত্র বছরখানেকের মধ্যে ২০১৮ সালে ফের মহিলা দলের কোচ নিযুক্ত হন প্রাক্তন ডাচ হকি তারকা।
গত বছর লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় সর্ড নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। প্রায় ১৬ মাস পরিবারের থেকে আলাদা থাকার পর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর উদ্দেশ্যেই সর্ড দলের দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন বলে কানাঘুষো। তবে ভারতীয় মহিলা হকি দলের উন্নতিতে ৪৭ বছরের নেদারল্যান্ডসের কোচের অবদান সহজে ভোলার নয়।