গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রকাশ মায়ানমারে রোহিঙ্গিয়া জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। একই সঙ্গে মায়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি তথা আরসা-কে ও মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা।
ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও রোহিঙ্গিয়ারা বিপদজনক হয়ে উঠেছে।
গত মাসে উত্তর প্রদেশ এ টি এস নূর মহম্মদ, রেহমত উল্লা এবং সাবিউল্লা নামে তিন জন নারী ও শিশু পাচার চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এই তিনজন বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গিয়াদের বেআইনি ভাবে ভারতে বসবাসের ব্যবস্থা করে দিতো যার জন্য ওরা মোটা অর্থ পেতো।
পান্ডা নূর ইসলাম নিজেও বাংলাদেশী এবং বর্তমানে ত্রিপুরায় বসবাস করে, রেহমত উল্লা নিজে রোহিঙ্গিয়া ও মায়ানমার থেকে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করে সে জম্মুর রোহিঙ্গিয়া সাৰণাৰ্থী ক্যাম্পে থাকতো। তৃতীয় অভিযুক্ত সাবিউল্লা ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গিয়া।
আরসা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটির সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির যোগ দীর্ঘদিনের।
২০১৭ সালের আগস্টে আরসা মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পর থেকেই সেখানে সেনা অভিযান শুরু হয়। যার কারণে পরবর্তীতে সাড়ে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গিয়া পালিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) এসে আশ্রয় নেয়। এর আগে চার লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর মোট সংখ্যা ১১ লক্ষ। ২০১৮ সালের মে মাসে মায়ানমারের রাখাইনে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর ওপর অস্ত্রধারী রোহিঙ্গিয়া সন্ত্রাসবাদীদের ভয়াবহ নির্যাতনের কথা তুলে ধরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মানবাধিকার সংগঠনটির প্রকাশিত এক তদন্ত প্রতিবেদনে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য এবং চিত্র-সহ প্রমাণ তুলে ধরা হয়।