কর নীতিতে বহু প্রতীক্ষিত সংশোধন, Retrospective Tax বাতিলের পথে সরকার

বৃহস্পতিবার আয়কর আইনে রেট্রোস্পেকটিভ কর স্থগিতের উদ্দেশ্যে সংশোধনী বিল পেশ করল কেন্দ্র সরকার।

‘এই বিলের মাধ্যমে আয়কর আইন, ১৯৬১-র সংশোধনের প্রস্তাব করা হল। এর উদ্দেশ্য হল, ২৮ মে ২০১২-র আগে যদি কোনও লেনদেন করা হয়, তাতে ভবিষ্যতে কোনও রেট্রোস্পেক্ট সংশোধনীর ভিত্তিতে করের দাবি করা যাবে না,’ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লোকসভায় জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক।

২৮ মে ২০১২-তেই অর্থবিল ২০১২ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়েছিল।

‘এতে আরও প্রস্তাব করা হচ্ছে যে ২৮ মে ২০১২-র আগে করা ভারতীয় সম্পদের পরোক্ষ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কোনও রেট্রোস্পেক্ট করের দাবি করা যাবে না, যদি তা নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করে থাকে,’ জানায় অর্থমন্ত্রক।

অর্থমন্ত্রক আরও জানায়, ‘এই বিলে অর্থ আইন, ২০১২ সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে ১১৯ ধারার অধীনে প্রযোজ্য সমস্ত কর নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণের ক্ষেত্রে স্থগিত হয়ে যাবে।’

প্রসঙ্গত, এই রেট্রোস্পেক্ট রাজস্ব বাবদ নেওয়া ১.২ বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছে ব্রিটিশ তেল ও গ্যাসের সংস্থা কেয়ার্ন এনার্জি। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পর্যন্ত চলছে টানাপোড়েন । তার মধ্যে এই বিল বেশ তাত্পর্যপূর্ণ।

২০১২ সালে পূর্বতন ইউপিএ সরকার বকেয়া কর আদায় করতে এই আইন সংশোধন এনেছিল। এর আওতায় ভোডাফোন-হাচিসন ব্যবসায়িক লেনদেনের উপরে ২০ হাজার কোটি টাকার করের দাবি চাপিয়েছিল আয়কর দফতর। 

ভোডাফোন ও কেয়ার্ন মামলায় রেট্রো ট্যাক্স নীতির ফলে আন্তর্জাতিক ভাবে অপমানিত হয়েছে ভারত। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বারবার এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তাদের প্রশ্ন ছিল যে আচমকা যদি কর চাপিয়ে দেওয়া হয় রেট্রো ট্যাক্সের নীতি ব্যবহার করে, তাহলে তারা কি করবেন। এইবার সেই সব সমস্যা নিরসনেই এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল সরকার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.