মমতা কিভাবে নিজের ইগো বজায় রাখতে রাজ্য কোষাগার ফাঁকা করেন তার প্রমাণ

মমতা কিভাবে নিজের ইগো বজায় রাখতে রাজ্য কোষাগার ফাঁকা করেন তার প্রমাণ । বিরোধীদের নিকেশ করতে তিনি কতটা হিংস্র এটা তারও প্রমাণ । কিভাবে ? শুনুন সেই কাহিনী ।

রাখাল বেরা । শুভেন্দু অধিকারীর কাছের মানুষ । মমতা তাঁকে জেলে পুরেছেন । কেন ? তিনি নাকি টাকা নিয়েছেন চাকরি দিয়ে । জনৈক সুজিত দে কে দিয়ে মানিকতলা থানায় এফ আই আর করিয়ে । ভুয়ো এফ আই আর সবাই জানে । তবু করিয়েছেন । জেলেও পুরে দিনের পর দিন রেখে দিয়েছেন । শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে বিষয়টি উঠতে বিচারক রাজ কুমার মান্থা অনুধাবন করেছেন সরকারের মূল অভিসন্ধিটি । শুধু জামিন দেন নি । রায়ে পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছেন যে রাখাল বেরার বিরুদ্ধে কোন ভাবে আর এফ আই আর করতে গেলে এখন থেকে আদালতের অনুমোদন নিতে হবে । আদালতের অনুমোদন ছাড়া তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না ।
সরকারের অভিসন্ধি আদালত বুঝতে পেরেই সম্ভবত এই রায় দিয়েছেন । এতেই অগ্নিতে ঘৃতাহুতি । খবরটি চেপে গিয়েছিল আনন্দবাজার সহ বাংলা সংবাদ মাধ্যম ।
আজ হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার মুভ করেছিল । রাখাল বেরার রিলিফ আটকাতে মরিয়া মমতা এই মামলায় কাকে কাকে দাঁড় করিয়েছিল শুনবেন ?
১. পি চিদম্বরম ২. কিশোর দত্ত, এডভোকেট জেনারেল ৩. শাস্বত গোপাল মুখার্জি পি পি এবং আরও তিনজন আইনজীবী ।
সুপ্রিম কোর্টের খ্যাতনামা কোন আইনজীবী মামলা লড়লে প্রতি এপিয়ারেন্সে ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা দিন প্রতি নেন । পি চিদম্বরম কত নিয়েছেন আমরা কেউ জানিনা । এরপরও রয়েছেন আরও পাঁচ জন আইনজীবী । কে কত ফি নিয়েছেন আমরা কেউ জানিনা ।
হিসেব কষে নিন বুদ্ধি করে, বাঙালি ।

কার জন্য, কাকে আটকাতে এই ব্যয় হল ? রাখাল বেরাকে । তিনি কে ? শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ ।

কিছু বুঝলেন ? একজন মহিলাকে কেন হারিয়েছেন আপনি নন্দীগ্রামে ? শুধু শুভেন্দু অধিকারীকে টাইট দিতেই এই যখন আয়োজন তখন ঠিক তার আগের দিনে শিবপুরের ইতিহাসে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া গোল্ড মেডালিস্ট স্বর্ণালী সামন্ত ডোমের ১৫ হাজার টাকার অস্থায়ী সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য লাইন দিয়েছিলেন এন আর এস হাসপাতালে ।
রাজ্যে যখন ভাঁড়ারের অভাবে সাড়ে পাঁচ লক্ষ সরকারি পদ অবলুপ্ত । ৮৭ হাজার স্কুল শিক্ষকের পদ অপূর্ণ । ৭৫ হাজার রাজ্য পুলিশের পদে নিয়োগ নেই । ২৯ হাজার কলকাতা কর্পোরেশনের স্থায়ী পদে লোক নেই । দমকল, লাইব্রেরী, পঞ্চায়েত, পুরসভা সর্বত্র এক চেহারা । টাকা নেই, টাকা নেই, তার খেসারত দিচ্ছে শিক্ষিত বেকার বাঙালি ।

ঠিক সেই পরিস্থিতিতে নীচের অ্যাডভোকেট তালিকার নামগুলো আবার মন দিয়ে ভালো করে পড়ুন
১. পি চিদম্বরম ২. কিশোর দত্ত ৩. শ্বাশত গোপাল মুখার্জি এবং আরো তিনজন আইনজীবী । শুধু একজন রাখাল বেরাকে গরাদের ভেতরে আটকাতে ।

নন্দীগ্রামে কেন তাঁকে হারালেন, আপনি শুভেন্দু ?

টাকাগুলো তো আমাদেরই বাঁচতো ? তাই না ?

সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ( ৯৮৩০৪২৬০৭৮)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.