রাহুল গান্ধী ইস্তফা দিয়েছেন গত সপ্তাহেই। তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কংগ্রেসে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার। তার জন্য নতুন নেতা চাই। গান্ধী পরিবারের মধ্যে থেকে যেন আর নেতা না বাছা হয়। কিন্তু তার পরেও প্রবীণ কংগ্রেসীরা প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছেই আর্জি জানালেন, তিনি যেন কিছুদিনের জন্য ফের দলের হাল ধরেন।
সনিয়াকে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনি কি দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হতে পারেন? তিনি হ্যাঁ বা না কিছুই বলেননি। ৭২ বছরের প্রাক্তন সভানেত্রী মূলত স্বাস্থ্যের কারণেই ২০১৭ সালে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি নাকি বলেছেন, নতুন করে দলের দায়িত্ব নেওয়া তাঁর কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
গত লোকসভা ভোটে ১৭ টি রাজ্যে কংগ্রেস একটিও আসন পায়নি। যে রাজ্যগুলিতে তারা ক্ষমতায় আছে, সেখানেও তাদের অবস্থা ক্রমেই খারাপ হয়ে আসছে। কর্ণাটকে শাসক কংগ্রেস-জেডি এস জোটের ১৬ জন ইতিমধ্যে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। পরিস্থিতির মোকাবিলায় হস্তক্ষেপ করেছেন সনিয়া। তিনি সৌম্যা রেড্ডি নামে কর্ণাটকের এক বিধায়কের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর বাবা রামলিঙ্গ রেড্ডি বিদ্রোহ করে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন।
কর্ণাটকে কংগ্রেস যখন সরকার বাঁচাতে ব্যস্ত, তখন দুঃসংবাদ এসেছে গোয়া থেকে। সেখানে ১৫ জন কংগ্রেস এমএলএ-র ১০ জনই সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গত মাসে তেলঙ্গানাতেও কংগ্রেসের ১৪ জন বিধায়ক কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলে যোগ দিয়েছিলেন।
রাহুল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে দলের আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতা পদত্যাগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও মিলিন্দ দেওরা।
রাহুলের পরিবর্তে কে সভাপতি হবেন, তা নিয়েও একমত হতে পারেননি কংগ্রেস নেতারা। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে প্রকাশ্যেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে কংগ্রেসের মধ্যে। অনেকেই বলছেন, কংগ্রেস এখন বিভ্রান্ত, দিশাহারা।