নাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুঁসছে রাঢ়বঙ্গের নদীগুলি। শিলাবতী, কংসাবতী থেকে গন্ধেশ্বরী বইছে দুকুল ছাপিয়ে। একাধিক জায়গায় সেতুর ওপর দিয়ে বইছে জল। কোথাও সেতুতে ধরেছে ফাটল। প্রাণ হাতে করে তার ওপর দিয়েই পারাপার করছেন স্থানীয়রা।
বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের আঙ্গারগড়িয়া থেকে সেকেড্ডা যাওয়ার রাস্তার ওপর পুরাতন গ্রামের পাশেই রয়েছে দ্বারকা নদীর কজওয়ে। সপ্তাহ তিনেক আগে নদীর জল বাড়ায় অল্প ফাটল দেখা যায় কজওয়েতে। তারপর আবার নিম্নচাপের ফলে নদীর জল বাড়ায় বেড়ে যায় কজওয়ের ফাটল বাড়ে। সঙ্গে কজওয়ের এক ধারের অনেকটা অংশ ধসে যায়। এর পর দুর্ঘটনা এড়াতে এই কজওয়ে দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে প্রশাসন।
এর ফলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে এই এলাকার বাসিন্দাদের। রাস্তা বন্ধ থাকায় প্রায় কুড়ি কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে এবং বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল।
ওদিকে বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী জল বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে মানকানালি সেতু। জল বইছে সেতুর ওপর দিয়েছ তার মধ্যেই প্রাণ হাতে নিয়ে পারাপার করছেন স্থানীয়রা।
ছোটনাগপুরের মালভূমিকে প্রবল বর্ষণের জেরে রোজই জল ছাড়ছে DVC. উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতর মধ্যে আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানিয়েছেন, ৬ অগাস্ট পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে। তার পর অতিভারী বর্ষণ হতে পারে পশ্চিমের জেলাগুলিতে।