মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতীয়দের জন্য বড়ো খবর সামনে আসতে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে ১২ আগস্ট ভারত মহাকাশে নিজের জেমস বন্ড নিযুক্ত করবে। জেমস বন্ড অর্থাৎ GISAT-1 স্যাটেলাইট, এটা এমন এক উপগ্রহ যা মহাকাশে থেকে ভারতের চোখ ও কান হিসেবে কাজ করবে। এর আগে ২ বার GISAT-1 লঞ্চ করার চেষ্টা হয়েছে। তবে বিশেষ কারণের জন্য দুবারই লঞ্চ করা সম্ভব হয়নি।
২০১৯ সালে চীন নিজের গোয়েন্দা স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। চীন ২০১৯ সালে গাওফেন-7 স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল, যা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর যে কোনো স্থানের উপর নজর রাখতে সক্ষম। চাইনিজ মিডিয়ার দাবি, গাওফেন-7 স্যাটেলাইট ওই শ্রেণীর সবথেকে উন্নত স্যাটেলাইট। গাওফেন-7 স্যাটেলাইট লঞ্চের সময় বিশ্বের অনেক দেশ আপত্তি প্রকাশ করেছিল এবং চীনের আগ্রাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।
সেই সময় চীন সমস্ত দেশের দাবি খারিজ করে অন্য যুক্তি দিয়েছিল। চীনের মতে গাওফেন-7 স্যাটেলাইট কোনো দেশের গোয়েন্দাগিরি করার জন্য ব্যাবহার করা যাবে না। এটা শুধুমাত্র ম্যাপিং ও জমি সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হবে। অনেকে দাবি করেন, লাদাখ সীমান্তে গাওফেন-7 স্যাটেলাইট ব্যাবহার করে চীন নজর রাখছে এবং সেনাবাহিনীকে ওই সমস্ত ছবি প্রেরণ করেছে।
চীনের চালকে মাত দিতে ভারত ২০২০ সালেই GISAT-1 লঞ্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে তা সেই সময় তা হয়ে উঠেনি। পুরো সিস্টেম ও স্যাটেলাইট তৈরি থাকলেও ISRO তে আসা একটা ফোন কল এই স্যাটেলাইট লঞ্চ আটকে দেয়।
অবশ্য সেই ফোন কল কে করেছিল, ফোন কলে কি কথা বলা হয়েছিল তাও সার্বজনিক করা হয়নি। জানিয়ে দি, GISAT স্যাটেলাইট খুবই শক্তিশালী উপগ্রহ। যা মাটিতে পড়ে থাকা একটা কয়েনের ছবিও স্পষ্ট তুলে আনতে সক্ষম। এমতো অবস্থায় স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারত GISAT-1 লঞ্চ করতে পারলে তা ভারতের জন্য এক বিরাট জয় বলে গণ্য হবে। কারণ এই স্যাটেলাইট লঞ্চের পর বর্ডারে চীনের কোনো সৈনিক এক ইঞ্চি পা সরালেও তার টের পাওয়ার ক্ষমতা রাখবে ভারত।