নদীতে ভেসে যাচ্ছে চিনা ফৌজি, চলছে হাতাহাতি – গালওয়ান নিয়ে চিনের Video : রিপোর্ট

গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে চিনের একটি নয়া ভিডিয়ো সামনে এল। তাতে একটি পাথর ছোড়া, হাতাহাতির ছবি ধরা পড়েছে। যদিও ভিডিয়ো নিয়ে ভারত এবং চিনের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

ওপেন-সোর্স গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞের (টুইটারের নাম @detresfa_) তরফে টুইটারে একটি ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) শেয়ার করা হয়েছে। সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘পিপলস লিবারেশন আর্মির এক মৃত ফৌজির পরিবারের ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ। সেই ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিয়ো ফুটেজে ভারত এবং চিনের মধ্যে গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ, পাথর ছোড়া, কাছাকাছির মধ্যে হাতাহাতি, নদীতে ফৌজিদের অবস্থা এবং চিনা সরঞ্জাম বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছে।’

গত বছর ১৫ জুন গালওয়ান সংঘর্ষের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চিনের তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছিল। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের যাবতীয় দায়ভার ‘বিদেশি বাহিনী’-র উপর চাপিয়েছিল বেজিং। তারইমধ্যে নয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, খরস্রোতা নদীর (গালওয়ান নদী) পাশে একটি ছাউনি আছে। সেখানে কয়েকজন ফৌজি দাঁড়িয়ে আছে। পরের দৃশ্যে সেখানে কয়েকজন ছুটে আসছে। তারপর পাথর ছুড়তে দেখা গিয়েছে। দেখানো হয়েছে হাতাহাতির দৃশ্য। নদী দিয়ে চিনা ফৌজিদের টেনে আনা, রাতে নদী জলে চিনাদের ভেসে যাওয়া, নদী থেকে উদ্ধার করার মতো দৃশ্য দেখানো হয়েছে। পরে এক মহিলাকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিয়োয় চিনা ধারাভাষ্যকারকে কিছু বলতেও শোনা গিয়েছে।

সেই ভিডিয়ো সামনে আসার আগে গত শনিবার দ্বাদশ কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল ভারত এবং চিনা সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের দিকে মলডোয় সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে সেই বৈঠক শুরু হয়েছিল। শেষ হয়েছিল সন্ধ্যায় ৭ টা ৩০ মিনিটে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গঠনমূলক’ বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা দ্রুত সমাধানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ‘ওয়েস্টার্ন সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাকি এলাকাগুলি থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অকপট এবং বিস্তারিতভাবে মতামত আদানপ্রদান করা হয়েছে।’ নাম গোপন রাখার শর্তে এক শীর্ষ সেনা আধিকারিক জানিযেছেন, ‘বৈঠকে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তের হট স্প্রিং এবং গোগরা থেকে সেনা সরানোর পরিকল্পনার তৈরির দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.