তিন মাসেরও বেশি সময় পর কমান্ডার পর্যায়ের আলোচনা বসেছিল ভারত এবং চিন। সেই বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন বিষয়গুলি দ্রুত সমাধানের ক্ষেত্রে একমত হলেন দু’দেশের সেনার কমান্ডাররা। সেইসঙ্গে গোগরা এবং হট স্প্রিং থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছন এক শীর্ষ সেনা আধিকারিক।
গত শনিবার দ্বাদশ কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল ভারত এবং চিনা সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের দিকে মলডোয় সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে সেই বৈঠক শুরু হয়েছিল। শেষ হয়েছিল সন্ধ্যায় ৭ টা ৩০ মিনিটে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গঠনমূলক’ বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা দ্রুত সমাধানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ‘ওয়েস্টার্ন সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাকি এলাকাগুলি থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অকপট এবং বিস্তারিতভাবে মতামত আদানপ্রদান করা হয়েছে।’ নাম গোপন রাখার শর্তে এক শীর্ষ সেনা আধিকারিক জানিযেছেন, ‘বৈঠকে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তের হট স্প্রিং এবং গোগরা থেকে সেনা সরানোর পরিকল্পনার তৈরির দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
যৌথ বিবৃতিতে গঠনমূলক বৈঠকের দাবি করা হলেও গত বছরের মে থেকে লাদাখ সীমান্তে যে সংঘাত তৈরি হয়েছে, তা এখনও প্রশমিত হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে গত এপ্রিলের পর আবারও ভারত এবং চিনের মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে যে বড়সড় কোনও ঘোষণা করা হবে, সেরকম কোনও আশা করেননি বিশেষজ্ঞরা। নর্দান আর্মির কমান্ডার প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুডা (অবসরপ্রাপ্ত) জানান, তিন মাসেরও বেশি পর সেনা কমান্ডাররা মতের বিনিময়ের জন্য বৈঠক করছেন দেখে ভালো লাগছে। তবে দু’দেশের মধ্যে যে মতপার্থক্য আছে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে এবং সেনা সরানোর প্রক্রিয়ার শর্তের বিষয়ে দ্রুত একমত হওয়া যাবে না। সামরিক পর্যায়ের পাশাপাশি কূটনৈতিক মহলেও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে হবে।