কিছু লোক মোদি শাহর সাথে মমতা ব্যানার্জীর সেটিং এর থিওরিতে অনড়।
সেটিং হয় দুজনেরই লাভ লোকসানের পরিমান থাকলে।
সেটিং করলে মাননীয়ার লাভ। মোদি শাহ জুটির কি লাভ?
বরঞ্চ ২০২৪ এর লোক সভা ভোট পশ্চিম বাংলা বিজেপির কাছে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল।সেই চ্যালেঞ্জে জিততে পারলে বিজেপির লাভ ছিল।
এই কারনে ২০২১ বিধান সভা ভোটেকে পাখির চোখ করে বিজেপি ঝাপিয়েও ছিল।
কিন্তু বিভিন্ন কারনে ভোটে জিততে পারেনি। তাতে সাবোতাজ থাকতে পারে কিন্তু সেটিং ছিল না।সেই নিয়ে ভোটের পরের দিন থেকে লিখে আসছি তাই আর নতুন কিছু লিখছি না।
ভোটের নিরিখে পশ্চিম বঙ্গের গুরুত্ব অপরিসীম। সে লোক সভা হোক বা বিধান সভা।
লোকসভায় আসনের দিক দিয়ে পশ্চিম বঙ্গ তৃতীয় উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্রের পরই পশ্চিমবঙ্গ। সেই রকম বিধানসভাও।
বিধান সভা ভোটে ক্ষমতা দখলের সাথে সাথে আর একটা জিনিসও হয় বিধানসভায় যত বেশি আসন পাওয়া যায় রাজ্যসভায় ও তত বেশি সদস্য পাঠানো যায়। যে কোনো বিল পাশ করার ক্ষেত্রে রাজ্যসভার সদস্যর ভূমিকা থাকে।
তাই পশ্চিমবাংলার ভোট বিজেপির কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
মোদি শাহ জুটি এত বোকা নয় যে নিজের ক্ষতি করে সেটিং করবে।
এখানে অনেকে কংগ্রেসের সাথে সিপিএমের যে দীর্ঘদিন সেটিং ছিল তার তুলনা টেনে একথা বলে।
আসলে যারা এই সব বলে তাদের রাজনীতির ‘র’ জ্ঞান নেই। সেই সেটিং এর ব্যপারটা ছিল আন্তর্জাতিক সেটিং।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ও কংগ্রেসের টিকি এক জায়গায় বাঁধা ছিল। সেটা ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে। ভি ভি গিরির রাষ্ট্রপতি হওয়া থেকে ৭৯সালে জনতা পার্টির সরকারের পতন সবই ওই সোভিয়েত ইউনিয়নে কাছে টিকি বাঁধার কারনে। তাই সেটার সাথে এটা মেলালে হবে না।
আর তা ছাড়া বিজেপি এই সবে প্রথম বিরোধী আসনে বসেছে।
এর মধ্যেই কিন্তু বিভিন্ন মামলার মাধ্যমে রাজ্যসরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে।
বাম আমলে বহু কংগ্রেস কর্মি খুন হয়েছে ভোটের পর অনেক অত্যাচার হয়েছে কোনো ক্ষেত্রেই কিন্তু বিজেপি যে তৎপরতা দেখিয়েছে কংগ্রেস কিন্তু বিরোধী হিসাবে সে তৎপরতা সে সময় দেখায় নি।
সেই হিসাবেও এই সামান্য সময়ে বিজেপির বিরোধী হিসাবে যথেষ্ট ভালো ভূমিকা। আর একটা কথা মনে রাখবেন সেই সময় মিডিয়া এইরকম রাজ্যসরকারের হয়ে বিরোধী দলের বিপক্ষে ছিল না। বরঞ্চ বাম আমলের একদম শেষ দিক বাদ দিলে মিডিয়াই বিরোধীর ভূমিকা পালন করত। আর এখন মিডিয়া সবে বিরোধী হওয়া বিজেপির বিপক্ষে লেগে আছে। কিছু ফেসবুকের চাড্ডি এইসব না বুঝে সেটিং সেটিং করে চিল্লাচ্ছে।
আসলে ফেসবুকের কিছু চাড্ডি গাছ পুতেই ফল খেতে চায়। সে ভোটের ফল বলুন বা অন্য ক্ষেত্রেই বলুন।
আরেক সমস্যা হয়েছে এই টুইট নিয়ে কে কখন কি টুইট করছে সেটাকে নিয়ে চাড্ডিরা হামলে পরছে।
যে টুইট করছে তার কথাকে বেদবাক্য বলে ধরে নিচ্ছে।
সময় দিন ধৈর্য ধরুন এত অল্প সময়ে পশ্চিম বাংলার পটপরিবর্তন হয় না।
তাপস চৌধুরী