প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার লক্ষ্যে পাঁচ হাজার চারাগাছ লাগানোর অঙ্গীকার করলেন বাঁকুড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা। আজ সোমবার সেই কর্মসূচির সূচনা করলেন তিনি। এদিন বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বিভিন্ন পরিত্যক্ত জায়গায় নানা প্রজাতির গাছের চারা লাগালেন তিনি। তার এই উদ্যোগের সাথী দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা। তারা সেই গাছের চারাগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার অঙ্গীকার করেন।
নিলাদ্রী বাবু বলেন, আমার বিধানসভা ক্ষেত্রের সাধারণ মানুষ সেগুলি রক্ষা করবেন বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানান। কেননা সঠিক পরিচর্চার অভাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চারাগাছগুলির অকাল মৃত্যু ঘটে। তিনি বলেন, একসময় বড় বড় গাছের মগডালে বাসা বাঁধতো চিল, শকুন, বাজ জাতীয় পাখি, এখন সেইসব গাছ না থাকার জন্য চিল শকুনের মত পাখিরা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করার যে বৃক্ষ আমাদের মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রেখেছে সেই সব গাছ লও হারিয়ে গেছে। নীলাদ্রিবাবু বলেন, সে কারণে অর্জুন, তেঁতুল, বট, অশ্বত্থ, শাল, সেগুন জাতীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের পাশাপাশি আম, জাম, পেয়ারা ইত্যাদি ফলের চারাও লাগানো হচ্ছে।
তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, জেলার বনভূমির আয়তন দিন দিন কমে আসছে। তাই বহু পশু পাখি ইতিহাসের পাতায় চলে গেছে। হাতি একসময় বাঁকুড়ার গভীর জঙ্গলে বসবাস করত। লোকালয়ে তাদের দেখা পাওয়া যেত না। এখন প্রতিদিন সেইসব জঙ্গলের খাবারের অভাবে হাতি লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। জঙ্গল না থাকায় সরীসৃপরাও বিলুপ্ত হতে বসেছে। তিনি বলেন, যে করেই হোক বনভূমি রক্ষা করতেই হবে। সেই সঙ্গে আমাদের প্রত্যেককে গাছ লাগানোর শপথ নিতে হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য ঠিক রাখতে না পারলে মানবসভ্যতাকে রক্ষা করা যাবে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ব্যপারে কিন্তু সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলি উদাসীন।