অশ্বগন্ধা ও অতিমারী

আয়ুশ মন্ত্রক ও  লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতার জন্য আয়ুর্বেদিক  অশ্বগন্ধার উপর একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল।সর্বভারতীয় আয়ুর্বেদ ইনস্টিটিউট আয়ুশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে  এবং এলএসএইচটিএম অশ্বগন্ধার ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনার জন্য একটি চুক্তিতে  স্বাক্ষর করেছে। ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলি যুক্তরাজ্যের তিনটি শহর-লিসেস্টার, বার্মিংহাম এবং লন্ডনে ২০০০ জন মানুষের উপর করা  হয়েছে।অশ্বগন্ধার উপর অতীতের বেশ কয়েকটি গবেষণা করা হয়েছে বিভিন্ন রোগের উপকারিতা বোঝার জন্য। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো আয়ুশ মন্ত্রক বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতায় কোভিড  রোগীদের উপর এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে।অশ্বগন্ধাকে বৈজ্ঞানিকভাবে উইথেনিয়া সোমনিফেরা বলা হয়। এটিকে সাধারণত ‘ইন্ডিয়ান উইন্টার চেরি’ বলা হয়। বিশেষ করে দুর্বলতার জন্য বহুল প্রচলিত ঔষধ হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি যুক্তরাজ্যে খুব সহজেই পাওয়া যায় , নিরাপদ পুষ্টিকর , লং কোভিড ট্রিটমেন্টে ‘অশ্বগন্ধা’ এর ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে, যা লক্ষ্যণীয়। এই গবেষণা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা প্রচলিত আয়ুশ মেডিসিনকে আরোও গুরুত্ব দেবে। তিন মাস ধরে চলা এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দুই পর্যায়ে প্রায় ১০০০ জনের ওপর ৫০০ mg এর ২ টি করে ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হয়েছে , যা রোগীদের মেন্টাল ও শারীরিক দিক থেকে উন্নতি প্রদান করেছে। সমগ্ৰ বিশ্ব জুড়ে অশ্বগন্ধা এর ওপর গবেষণা শুরু হয়েছে, জানা গিয়েছে অশ্বগন্ধা শরীর  ইনফেকশন মুক্ত করতেও সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.