বিধাননগরের মেয়র এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভার বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে ফের গিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা বাড়ালেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তৃণমূল কংগ্রেস একসময় তার অনুগামী সব্যসাচীর বাড়িতে সাম্প্রতিক অতীতে দ্বিতীয় বার গেলেন মুকুল।
রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে- দল ভাঙিয়ে সাব্যাসচিকে তৃণমূলে আনছেন মুকুল। যদিও বৃহস্পতিবার এই নিয়ে কোনও কোথায় হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। মুকুলের বক্তব্য, শুনলাম, সাব্যাসচির বিরুধ্যে বিধাননগর পুরসভায় অনাস্থা আনা হচ্ছে। সেই খবর নিতে এসেছিলাম।
যা খবর, বিধাননগরের মেয়রের বিরুধ্যে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছে। মঙ্গলবারই পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কাছে ৪১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৩৫ জন সব্যসাচী বিরুধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন। প্রস্তাব জমা দিয়েছেন ডেপুটি মেয়র তাপস চ্যাটার্জি।
সব্যসাচীর বিরুধ্যে তাঁর পার্টির অন্যতম অভিযোগ, তিনি ‘গদ্দার’, শত্রুপক্ষ মুকুল রায় এবং বিজেপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগেই মুকুল রায় সব্যসাচী দত্তের সল্টলেকের ডি এল ব্লকের বাড়িতে লুচি-আলুর দম খেয়ে গিয়েছেন। ওই ঘটনার পরই তোলপাড় হয়ে যায়। জল্পনা শুরু হয়, বিজেপির বারাসতের প্রার্থী হবেন সব্যসাচী। দলও সব্যসাচীকে সাবধান করে দেয়। সব্যসাচী তখন বলেছিলেন, মুকুল রায় লুচি-আলুর দম খেয়ে ক্রিকেট ম্যাচ দেখে ফিরে গিয়েছেন।
তবে কিছুদিন আগেই সল্টলেকের অভিজাত সুইমিং পুল এলাকায় মুকুল-সাব্যসাচীকে ফের একসাথে দেখা যায়। সব্যসাচীর যুক্তি ছিল, প্রশান্ত কিশোর রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিতে পারলে মুকুল রায় কেন তাঁকে পরামর্শ দিতে পারবেন না। রাজ্য রাজনীতিতে আবার তোলপাড় শুরু হয়। বিধাননগর পুরসভায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেকের লোক হিসাবে পরিচিত ডেপুটি মেয়র তাপস চ্যাটার্জিই বিধাননগর পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ত্ব নিয়ে নেন। দল তাকে সেই দায়িত্ব দেয়।
সূত্রের যা খবর, মুকুল বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ের যাবতীয় খবর সাব্যসাচীর থেকে নিয়েছেন।