প্রকাণ্ড ডলফিনের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বকখালির সমুদ্র সৈকতে। সমুদ্রের উপকূল থেকে উদ্ধার হল ২০ ফুটের মৃত ডলফিনের দেহ। রবিবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বকখালির ফ্রেজারগঞ্জের সমুদ্র সৈকতে। বিশাল আকারের ওই মৃত ডলফিনের দেহ দেখতে ওই এলাকায় ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বকখালি বন দফতরের কর্মীরা। তারাই মৃত ডলফিনের দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।
প্রাথমিক তদন্তে বন দফতরের অনুমান, বড় কোনও জাহাজের ধাক্কা খেয়ে সমুদ্রের উপকূলে চলে আসে ডলফিনটি। আঘাত লাগার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর রাতে স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবী সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন। তাঁরাই প্রথমে সমুদ্রের ধারে ওই বিশালকার ডলফিনের দেহ দেখতে পান। তারপর সকাল হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ডলফিনটিকে ওই ভাবেই সমুদ্রের উপকূলে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তাঁরাই বকখালির বন দফতরে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বন দফতরের কর্মীরা। তাঁরাই এই মৃত ডলফিন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এর আগে ফ্রেজারগঞ্জের মানুষটা এত বড় ডলফিন কোনওদিনও দেখেননি।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে কোচবিহারে বিরল প্রজাতির ডলফিন কেটে মাংস বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মৎস্যজীবী আক্কাস আলি প্রায় ২৫ কেজি ওজনের একটি ডলফিন শিকার করে সেটিকে সাড়ে ৬,৫০০ টাকায় সমীর শেখ নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে বিক্রি করে দেয়। অভিযোগ ওঠে, সমীর ডলফিনটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে তার মাংস বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বাজারে নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বন দফতরের কর্মীরা।